হোম > ইসলাম

ওয়াদা রক্ষা করা ইমানের অঙ্গ

শায়খ ওবাইদুল্লাহ

ওয়াদা রক্ষা করা ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটি মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কাউকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ না করা মুনাফিকের আলামত। এটি কোনো ইমানদারের কাজ হতে পারে না। মহানবী (সা.) কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করতেন না। সামান্য বিষয়ে ওয়াদা করলেও তা রক্ষা করতেন।

এক হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আবুল হাসমা (রা.) বর্ণনা করেন, নবুওয়াত পাওয়ার আগে নবী (সা.)-এর কাছ থেকে একদিন কিছু পণ্য কিনে নিই। দামের কিছু অংশ বাকি থেকে গিয়েছিল। আমি তাঁর সঙ্গে ওয়াদা করেছিলাম—বাকি টাকা নিয়ে আমি নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত থাকব। পরে আমি আমার ওয়াদার কথা ভুলে যাই। তিন দিন পর বিষয়টি মনে পড়ল। এসে দেখলাম, নবী (সা.) সেই স্থানেই উপস্থিত আছেন। আমাকে দেখে তিনি বললেন, ‘তুমি আমাকে খুব বিপদে ফেলে দিয়েছিলে। আমি তিন দিন ধরে তোমার অপেক্ষা করছি।’ (মিশকাত)

ওয়াদা রক্ষা করা ইমানের অঙ্গ। যে ব্যক্তি ওয়াদা রক্ষা করতে পারে না, সে পরিপূর্ণ ইমানদার নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই। আর যে ওয়াদা রক্ষা করে না, তার ধর্ম নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ)

কেয়ামতের দিন ওয়াদা ভঙ্গকারীদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ছোট-বড় সব বিষয়েই আল্লাহ সেদিন জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর ওয়াদা পূর্ণ করো। অবশ্যই ওয়াদা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)

এমন ওয়াদা করা বা কথা বলা মুমিনের জন্য শোভা পায় না, যা সে নিজেই পালন করে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা নিজেরা করো না?’ (সুরা সফ: ৬১)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

পবিত্র কাবায় শিশুদের নিরাপত্তায় বিনা মূল্যে ‘সেফটি ব্রেসলেট’

চার দশক বুখারি শরিফ পড়ানো শায়খুল হাদিস মাহবুবুল হক কাসেমীর ইন্তেকাল

তাবলিগের প্রবীণ মুরব্বি হাজি সেলিমের ইন্তেকাল

ন্যায়পরায়ণ শাসকের মর্যাদা ও পরকালীন পুরস্কার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচনের কারণে এগিয়ে এল কওমি মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় পরীক্ষা

শুরু হচ্ছে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ কোরআন প্রতিযোগিতা

প্রবীণ সুফি পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি আর নেই

অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে যে আমল

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫