শুক্রবার মুমিনের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এদিনের রয়েছে বিশেষ কিছু আমল—যেগুলো সম্পাদনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়া যায়।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, তার কাছে থাকা সুন্দরতম জামাটি পরিধান করল এবং সংগ্রহে থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করল, এরপর জুমায় উপস্থিত হলো, কারও কাঁধ ডিঙিয়ে গেল না, তারপর আল্লাহর তাওফিক অনুযায়ী সুন্নত-নফল পড়ল, অতঃপর খতিব (খুতবার জন্য) বের হওয়া থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত নিশ্চুপ রইল—তার এই নামাজ এ জুমা থেকে সামনের জুমা পর্যন্ত (গুনাহের) কাফফারা হবে। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৩; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসি: ৪৭৯; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৫৭৫৪)
এই উম্মতের জন্য নবীজির জবানে মহান আল্লাহর মাগফিরাতের আশাজাগানিয়া ঘোষণা—জুমার নামাজের বদৌলতে ১০ দিনের পাপরাশি মাফ করে দেবেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ধুয়ে গোসল করল, এরপর উত্তম আতর ব্যবহার করল, তার জামাগুলো থেকে ভালো জামা পরিধান করল, তারপর নামাজের উদ্দেশে বের হলো, (মসজিদে গিয়ে একসঙ্গে থাকা) দুজনের মাঝে বসল না, অতঃপর মনোযোগ দিয়ে ইমামের খুতবা শুনল—ওই ব্যক্তির এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহিহ্ ইবনে খুজাইমা: ১৮০৩)
জুমার দিনের বিশেষ ১০টি আমল এই—
জুমার দিনে উপরিউক্ত বিশেষ ১০টি কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর মাগফিরাত লাভে ধন্য হতে পারি।
লেখক: মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আন নোমান আরীফী, ইমাম, বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ, তেজগাঁও, ঢাকা।