হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

র‍্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকিংকে সন্ত্রাসবাদের কাতারে ফেলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হ্যাকিংয়ের ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে র‍্যানসমওয়্যার ব্যবহার করে করা হ্যাকিংকে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের কাতারে ফেলতে যাচ্ছে দেশটি। দেশটির বিচার বিভাগ এ সম্পর্কিত তদন্ত কার্যক্রমের গুরুত্ব সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম নিয়ে করা তদন্তের সম পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মার্কিন বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশেষত কলোনিয়াল পাইপলাইন হ্যাকসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হওয়া সাইবার হামলা থামাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে। পুরো দেশে আইন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিভিন্ন কার্যালয়ে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা গেছে। এতে বলা হয়, র‍্যানসমওয়্যার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তদন্তের তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করা হবে। এই সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে ওয়াশিংটনে সম্প্রতি গঠিত এ সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্স। 

মার্কিন বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জন কার্লিন বলেন, ‘এটি একটি বিশেষায়িত প্রক্রিয়া, যাতে র‍্যানসমওয়্যার সংশ্লিষ্ট সব ঘটনাকে একটি জায়গায় জড়ো করা যায়। দেশের কোথায় ঘটল, এ প্রশ্নের বদলে কী ঘটল, তাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এতে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের পাশাপাশি তাদের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ককে সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ফলে পুরো চক্রটিকে ধরা সহজ হবে।’ 

গত মাসে সাইবার অপরাধীদের একটি দল যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের একটি জ্বালানি সরবরাহ পাইপলাইনের অপারেটরে হামলা চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে তারা মুক্তিপণ দাবি করে। এই হ্যাকিংয়ের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা শুরু করায় অস্থির হয়ে ওঠে বাজার। পরে পাইপলাইনটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিতে এর পরিচালনাকারী কোম্পানি কলোনিয়াল পাইপলাইন ৫০ লাখ ডলারের মুক্তিপণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। 

শুধু এটিই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নিয়মিত এ ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা ঘটছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, এসব হামলার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত। কখনো কখনো চীনের নামও উঠে আসছে। তবে এই দুটি দেশই নিয়মিত এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সত্যিকার অর্থে কে বা কারা এমন ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত, তা বের করতেই র‍্যানসমওয়্যার সংশ্লিষ্ট সাইবার হামলাগুলোকে সন্ত্রাসী হামলার মতো গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে নিহত ২, আহত ৮

যুক্তরাষ্ট্রকে বর্জন করে কোথায় যাচ্ছেন কানাডার পর্যটকেরা

বাইডেনের সময় ইসরায়েলকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

এপস্টাইন ফাইল: নতুন ছবিতে বিল ক্লিনটন ও বিল গেটসসহ প্রভাবশালী অনেকে

লাতিন আমেরিকাজুড়ে শিগগির ‘স্থল অভিযান’ শুরু করবেন ট্রাম্প

বড় কোম্পানি থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান মার্কিন জরিপকারীর, সমালোচনার ঝড়

গর্ভে সন্তান আছে কি না পরীক্ষা করে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ডের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন প্রকাশ