যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর বন্দুক আইন প্রণয়নের দাবিতে দেশটির হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা ‘গুলি থেকে মুক্তি চাই’ স্লোগান দিচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে কংগ্রেসকে বন্দুক সুরক্ষা আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ ও প্রেসিডেন্টের আহ্বান সত্ত্বেও বন্দুক সুরক্ষা আইন পাসের সম্ভাবনা রিপাবলিকানরা বারবার বাতিল করে দিচ্ছেন।
গত ২৪ মে টেক্সাসের উভালদের রব এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৯ শিশু ও দুই শিক্ষক নিহত হয়েছেন। সেই হামলার আগে নিউ ইয়র্কের বাফেলো সুপার মার্কেটে বন্দুকধারীর গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। এ সব ঘটনার পর বন্দুক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি অব্যাহতভাবে আহ্বান জানাচ্ছেন মার্কিনিরা।
বন্দুক সুরক্ষার দাবিতে সোচ্চার একটি দল ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’ স্থানীয় সময় শনিবার বলেছে, তারা ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোসহ সারা দেশে প্রায় ৪৫০টি সমাবেশ করবে।
এক বিবৃতিতে মার্চ ফর আওয়ার লাইভসের (এমএফওএল) বোর্ড সদস্য ট্রেভন বোসলে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা মার্কিনিদের হত্যা করছে। এভাবে মানুষ মরতে থাকবে আর আপনারা বসে থাকবেন, তা হতে পারে না। আমরা আপনাদের বসে থাকতে দেব না।’
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ করছিলেন ডেভিড হগ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘উভালদেতে আমাদের শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে (বন্দুক সহিংসতা) এখন আর বিতর্ক করার সময় নেই। এখন পরিবর্তন করার সময়।’
বাফেলো সুপার শপে বন্দুকধারীর গুলিতে মারা গেছেন গার্নেল হুইটফিল্ডের ৮৬ বছর বয়সী মা। তিনিও যোগ দিয়েছে বিক্ষোভে। গার্নেল হুইটফিল্ড বলেন, ‘আমরা এখানে বিচারের দাবিতে এসেছি। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আমরা এখানে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি যারা যুক্তিযুক্ত বন্দুক সুরক্ষা আইন চায়।’