‘অবৈধ বিক্ষোভ’ করবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, সেসব স্কুল–কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে এ তথ্য। গতকাল মঙ্গলবার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু তা–ই নয়, এ ধরনের বিক্ষোভে জড়িত বিদেশি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। বিক্ষোভে কোনো ধরনের মুখোশ পরাকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘যে কোনো কলেজ, স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় যদি অবৈধ বিক্ষোভ অনুমোদন করে, তবে তাদের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। উসকানিদাতাদের কারাগারে পাঠানো হবে অথবা তারা যে দেশ থেকে এসেছে, সেখানে স্থায়ীভাবে ফেরত পাঠানো হবে। আমেরিকান শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হবে বা অপরাধের মাত্রার ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তার করা হবে। কোনো মুখোশ নয়! আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।’
‘অবৈধ বিক্ষোভ’ বলতে কোন ধরনের বিক্ষোভকে বোঝাতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে, অনেকেই মনে করছেন, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ইঙ্গিত করেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর একদিন আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল কাটছাঁটের ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযোগ, ‘ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি’র বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রায় ৫ কোটি ডলারের চুক্তি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বাদ দেওয়া কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।