যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পৃথকভাবে পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। দেশগুলো নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দুই পক্ষই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৩টি আসন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে—কর্মীদের গ্রেপ্তার, ভোট গ্রহণ ও গণনায় অনিয়ম, হস্তক্ষেপ এবং জালিয়াতির অভিযোগ। অভিযোগগুলো তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
ইমরান খান কারাগারে এবং তাঁর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্ররা বেশির ভাগই পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান সমর্থিত। এই স্বতন্ত্ররাই সর্বাধিক আসন জিতেছে। এখন পর্যন্ত ঘোষিত ২৪৫টির মধ্যে ৯৮টি পেয়েছেন এই স্বতন্ত্ররা, যেখানে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল–এন) পেয়েছে ৬৯টি আসন।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ইমরান খানের দলের ‘নেতা ও সমর্থকদের হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং দীর্ঘদিন আটক রাখা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন বলেছে, তারা পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। তারা কোনো প্রার্থী বা দলকেই এখনো অভিনন্দন জানায়নি।
ইমরান খানকে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর নেপথ্য কারিগর ছিল দেশটির অত্যন্ত ক্ষমতাবান সামরিক বাহিনী। যদিও সেনাবাহিনী সব সময় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অস্বীকার করে এসেছে। ইমরানের দল ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে।