হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর ছয় দিনে প্রথমবারের মতো গাজায় ঢুকে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল বিকেলের দিকে সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয় বলে ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানে ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর পদাতিক ও সাঁজোয়া বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেয়। একে ‘স্থানীয় অভিযান’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় এই অভিযান চালানো হয়েছে মূলত ‘সন্ত্রাসবাদীদের এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে তাদের সরিয়ে দিয়ে সেই এলাকাকে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে।’
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়াল হ্যাগারি বলেছেন, এই অভিযানে বিশেষ করে হামাস এবং অন্যান্য শত্রুদের কাছে থাকা অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত খুঁজে বের করার জন্য চালানো হয়েছিল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, একদল নিখোঁজ ইসরায়েলির মরদেহ থাকার খবরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শিমন পুত্রাবানির নেতৃত্বে একটি দল গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের কাছে অভিযান চালায়।
মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হামাসের ইউনিট ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেক্ট জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযানের জন্য প্রস্তুত। তবে সরকার এখনো অভিযানের আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর স্থল অভিযানের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘কেবল শুরু হলো।’ এ সময় তিনি হামাসকে নির্মূল করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। ইসরায়েল সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে যৌথভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সামনে অনেক কঠিন দিন আসছে সামনে কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী বর্বর হামাসকে গুঁড়িয়ে দেবে।’