হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইইউর ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব, খুলছে সম্ভাবনার দ্বার 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ইরান পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দফা বিরতি দিয়ে ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সদর দপ্তরে অনেকগুলো বৈঠক হয়। আলোচনা কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবারও বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে গত সপ্তাহে ইরানকে একটি ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব দেয় ইইউ। 

এই ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাবই দেখাচ্ছে নতুন আশার আলো। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো শিগগির এটি অনুমোদন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র আল–জাজিরাকে জানিয়েছে, ইইউর ‘চূড়ান্ত’ প্রস্তাব ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এতে বড় ধরনের কোনো বিরোধ নেই। ছোট খাট যেসব বিরোধ রয়েছে, তাতে চুক্তি আটকা পড়বে না বলেই তাদের ধারণা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তারাও এমটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। 
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র আল–জাজিরাকে জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রস্তাবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—চুক্তি সইয়ের পরদিনই ইরানের ১৭টি ব্যাংক ও দেড় শতাধিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। ১২০ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দৈনিক পাঁচ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে পারবে তেহরান। দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ ইরানের ৭০০ কোটি ডলার ফেরত দেওয়া হবে এবং চুক্তি থেকে আবারও বেরিয়ে গেলে জরিমানা গুনতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। 

চুক্তি সইয়ের সঙ্গে সঙ্গে অত্যাধুনিক পারমাণবিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধকরণ থেকে ক্রমশ সরে আসতে হবে ইরানকে। ২০১৮ সালের পর দেশটির সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত সম্প্রতি ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী তা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। উল্লেখ্য, ইউরেনিয়ামকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করা গেলেই পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যায়। 
 
তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইরান। যা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) বা সংক্ষেপ ইরান পরমাণু চুক্তি নামে পরিচিত। চুক্তি পর ইরান থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে একতরফা বেরিয়ে যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুক্তিটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। 

চুক্তিটির পুনরুজ্জীবন নিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজেসি) যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে প্রত্যাহারের দাবি। তবে, এটা জেসিপিও–এর বাইরের বিষয়ে বলে বারবার দাবি করেছে ওয়াশিংটন। এই বাহিনীটিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক মহল ও ইসরায়েলের চরম উদ্বেগ রয়েছে। 

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা