ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে গাজার মাটির নিচে হামাস যোদ্ধাদের যে বিশাল সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক রয়েছে সেখানে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এই খবর দিয়েছে আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবিক কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাকচ করে দেওয়ার পর দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামাসের সঙ্গে সুড়ঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাক্সে এক বার্তায় আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের সম্মিলিত বাহিনী গাজার ভেতরে একযোগে আনুমানিক ৩০০ লক্ষ্যবস্তুতে হানা দিয়েছে। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল নিক্ষেপ ক্ষেত্র ছাড়াও রকেট নিক্ষেপ ক্ষেত্রও রয়েছে। আর গাজার সুড়ঙ্গগুলোর ভেতরেও হামাসের আস্তানাগুলোতে অভিযান শুরু হয়েছে।
টুইটে আরও জানানো হয়—ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে হামাসের যোদ্ধারা ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল এবং মেশিনগান দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, সেনারা হামাস যোদ্ধাদের হত্যার পাশাপাশি বিমানবাহিনীকেও বিভিন্ন টার্গেটে হামলা চালানোর নির্দেশ দিচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজার প্রধান সড়কের সালাহ আল-দীন স্ট্রিটকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত সোমবার থেকে গাজা শহরে দুই দিক থেকে আক্রমণ শুরু করেছে তারা।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস যোদ্ধাদের কাছ থেকে জিম্মি থাকা এক সেনা সদস্যকে তারা উদ্ধার করেছে।
ধারণা করা হয়, গাজার মাটির নিচে হামাসের প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক রয়েছে। সুড়ঙ্গের ভেতর বিভিন্ন অবস্থানে স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটির অনেক নেতা অবস্থান করেন। এ ছাড়া হামাস যোদ্ধাদের হাতে বন্দী ইসরায়েলিদেরও এই সুড়ঙ্গের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে বলে দেশটি দাবি করছে।
এ অবস্থায় হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া এবং জিম্মি নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য শুরু থেকেই স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করে আসছিস ইসরায়েল।