সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল কুরাইশি। তবে প্রতিবেশীরাও বিশ্বাস করতে পারছে না তাঁদের পাশেই থাকতেন বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান।
আবু ইব্রাহিমের বাড়ির পাশে থাকতেন মাহমুদ শাহাদাহ। তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের মাথার ওপর দিয়ে বিমান উড়তে দেখেছি এবং ১০ মিনিট পর আমরা তাদের চিৎকার শুনতে পেলাম। এক নারীকে বলা হচ্ছিল, আত্মসমর্পণ করুন, আপনাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। আমি জানি না সে আত্মসমর্পণ করেছিল কি না।’
আবু ইব্রাহিম তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকা আতমে শহরে থাকতেন। এই শহরের অনেক বাসিন্দাই যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় গোলাগুলির শব্দ পেয়েছেন।
পর্যবেক্ষক সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, মার্কিন অভিযানে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাস্তুচ্যুত হয়ে আতমে শহরে এসে বাস করতেন আবু আলী। নিরাপত্তার জন্য পুরো নাম জানাতে অনিচ্ছুক আলী বলেন, ‘মার্কিন সেনারা অভিযানের আগে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে। তারা বলে, চিন্তা করবেন না, আমরা শুধু এই বাড়িতে এসেছি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তোমাদের মুক্ত করতে।’
আইএসের প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল বাগদাদির উত্তরাধিকারী হওয়ার পর থেকে আবু ইব্রাহিম মূলত আড়ালে রয়ে গিয়েছিলেন। ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাগদাদি ঘোষিত খিলাফতের নেতৃত্বে থাকলেও আগের তেজ আর ছিল না। অনেক অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে নৃশংস জঙ্গি সংগঠনটি।
আবু বকর আল বাগদাদি নিহত হওয়ার পর আইএসের শুরা কাউন্সিল ্কআবু ইব্রাহিমকে নেতা হিসেবে মনোনীত করে। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আইএসের মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশ করা হয়। প্রায় তিন বছর আগে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের পর আবু ইব্রাহিমের নেতৃত্বে আইএস ইরাক ও সিরিয়ায় মাঝেমধ্যে হামলা চালিয়ে আসছিল।