হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

দোহা সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। ছবি: এক্স

কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছে, কাতারের ওপর আক্রমণ হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপসহ তারা সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দোহা। ইসরায়েলি একটি সূত্র জানায়, হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ওই বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় হামাসের নিম্নপর্যায়ের পাঁচজন সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছিলেন। তবে ঘটনাস্থলে থাকা হামাসের পাঁচ নেতৃস্থানীয় সদস্য হামলায় অক্ষত ছিলেন। এ ঘটনায় আরব দেশগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।

গত সোমবার এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের কাছে ক্ষমা চান। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সময় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানিকে ফোন করে হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নেতানিয়াহু।

নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, অভিন্ন স্বার্থ ও সামরিক সম্পর্কের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে বাঁধা। কাতারকে তিনি ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির বিশ্বস্ত মিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্পের ভাষায়, কাতারের বিরুদ্ধে বিদেশি আগ্রাসনের অব্যাহত হুমকির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হলো—কাতারের নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা।

নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, কাতারের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর কোনো সশস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র একদিকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তাদের মিত্র ইসরায়েলের প্রতিও অবিচল সমর্থন জারি রেখেছে। হামলার এক সপ্তাহ পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দোহায় যান। সেখানে কাতারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-কাতারের নিরাপত্তা অংশীদারত্ব দীর্ঘস্থায়ী এবং এর লক্ষ্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি ওই বৈঠকের পর বলেন, ‘আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এমন হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেব।’

তবে ট্রাম্পের এ প্রতিশ্রুতির পরিসর নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে কোনো চুক্তির জন্য সিনেটের অনুমোদন লাগে। যদিও অতীতে বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট সিনেট ছাড়াই আন্তর্জাতিক চুক্তি করেছেন, যেমন বারাক ওবামার ইরান পরমাণু চুক্তি। অনেকে বলছেন, যতই আইন থাকুক, শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের হাতেই থাকে।

কাতার দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অংশীদার। দোহায় অবস্থিত আল উদেইদ এয়ারবেসে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরওয়ার্ড অপারেশন ঘাঁটি রয়েছে। ২০২২ সালে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারে সহযোগিতার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কাতারকে প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র ঘোষণা করেছিলেন।

ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের পর কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ বাদের আল-সাইফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘উপসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এর তাৎপর্য এত বেশি যে শুধু ট্রাম্পের মৌখিক আশ্বাস বা নৈশভোজে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়—এখানে নির্দিষ্ট মার্কিন নিরাপত্তার গ্যারান্টি প্রয়োজন।’

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে