ফিলিস্তিনের গাজা শহরে স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেচ জানিয়েছেন, গাজা শহরের ভেতরে প্রবেশ করে মূলত হামাসের নুখবা ফোর্সের সদস্যদের খুঁজে বের করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ এই বাহিনীই ইসরায়েলের মাটিতে গত ৭ অক্টোবরে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে।
হামাসের অভিজাত বাহিনী
আরবি ‘নুখবা’ শব্দটির অর্থ হলো অভিজাত। সেই অর্থে নুখবা ফোর্স হলো ফিলিস্তিনের অস্ত্রধারী সংগঠন হামাসের একটি অভিজাত শাখা। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নুখবা শাখার সদস্যদের বাছাই করেন।
হামাসের একাধিক সামরিক শাখা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ইজ আল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেড। এই ব্রিগেডেরই প্রধান ইউনিট—নুখবা ফোর্স। বিভিন্ন দেশের আধুনিক সেনাবাহিনীগুলোর কমান্ডোদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় এই নুখবা সদস্যরা। প্যারাগ্লাইডিং, প্যারাস্যুট থেকে শুরু করে কমান্ডোদের সব ধরনের প্রশিক্ষণই আছে তাদের।
নিউজউইকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নুখবা ফোর্সের যোদ্ধারা ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল, রকেট এবং স্নাইপার রাইফেল ব্যবহারে বিশেষ দক্ষ। হামাসের অত্যাধুনিক সব অস্ত্র এই বাহিনীর সদস্যরাই ব্যবহার করে থাকে। হামাসের শীর্ষ নেতাদের নিরাপত্তায়ও এই বাহিনী দায়িত্ব পালন করে।
সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের হোতা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ২০০৭ সালে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। পরে গাজা শহর ও এই শহর থেকে উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে মাটির নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করে তারা। এসব সুড়ঙ্গে এখন হামাসের নুখবা বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ইসরায়েলে হামলার ক্ষেত্রেও এই সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করেছে বাহিনীটি।
এ অবস্থায় হামাসের ওই সুড়ঙ্গগুলোই এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী টার্গেট। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সুড়ঙ্গের মধ্যেই হামাসের ঊর্ধ্বতন কমান্ডাররা অবস্থান করছেন।