হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

‘ইসরায়েলে টানা ২ বছর হামলা চালালেও ইরানের সক্ষমতা শেষ হবে না’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: এএফপি

ইরান যদি প্রতিদিন ইসরায়েলে হামলা চালায় এবং তা আগামী দুই বছর অব্যাহত রাখে, তার পরও দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্রের মজুত শেষ হবে না। এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, আইআরজিসি উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজকে গতকাল সোমবার বলেন, ইসরায়েলের ওপর প্রতিদিন হামলা চালানোর মতো পর্যাপ্ত সামরিক সক্ষমতা এখনো রয়েছে ইরানের।

মেজর জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতির অবস্থানে রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, আমাদের অস্ত্রাগার, ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও অন্যান্য সামরিক স্থাপনাগুলো এতটাই বিস্তৃত যে এখনো আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশির ভাগই প্রদর্শন করিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তার পরও আমাদের ঘাঁটিগুলো শেষ হয়ে যাবে না। এমনকি আমরা যদি প্রতিদিন তাদের (ইসরায়েলের) দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ি এবং তা দুই বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখি, তাও আমাদের মজুত শেষ হবে না।’

এদিনই একই ধরনের বক্তব্য দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি। মেহের নিউজকে সাফাভি বলেন, ‘জায়নবাদীরা জানে যে, আমাদের কিছু বাহিনী—যেমন নৌবাহিনী ও কুদস ফোর্স—এখনো যুদ্ধে নামেনি, এমনকি সেনাবাহিনীও পুরোপুরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি।’

সাফাভি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি করেছি এবং সেগুলো নিরাপদ স্থানে রাখা আছে।’

এর আগে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় ১৩ জুন। ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে এই সংঘাতের সূচনা হয়। এতে ইরানে অন্তত ৯৩৫ জন নিহত হয়। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় আরও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়।

জবাবে তেহরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে অন্তত ২৯ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়। এ তথ্য হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম প্রকাশ করেছে। এই সংঘাত শেষ হয় ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।

আরও খবর পড়ুন:

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রতিরক্ষা জোট শক্তিশালী করছে গ্রিস ও সাইপ্রাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার