হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় সিনওয়ারের ছবিযুক্ত লিফলেট ফেলে হামাসকে বার্তা দিল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসপ্রধান ইয়াহ্‌ইয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে তাঁর ছবি সংবলিত লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। এতে নেতানিয়াহুর দম্ভের কণ্ঠে লেখা রয়েছে, ‘হামাস আর গাজা শাসন করবে না।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

আরবিতে লেখা লিফলেটটিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘কেউ যদি অস্ত্র ফেলে দিয়ে জিম্মিদের ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়, তবে তাঁকে মুক্তি ও শান্তিতে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে।’

গত বুধবার মিসরীয় সীমান্তের কাছে দক্ষিণ রাফাহতে ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে সিনওয়ার নিহত হন। বৃহস্পতিবার মৃত্যু নিশ্চিতের পর নেতানিয়াহুর এক বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতি থেকেই লিফলেটে কথাগুলো লেখা হয়েছে।

লিফলেট ফেলার পাশাপাশি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় বাসিন্দা এবং চিকিৎসকেরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়াতে তাদের অবরোধ আরও কঠোর করেছে। সেখানকার ৮টি ঐতিহাসিক শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বড়, বেইত হানুন এবং বেইত লাহিয়া শহরের কাছে ট্যাংক পাঠিয়ে ঘিরে রেখেছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, সরিয়ে নেওয়ার আদেশের উদ্দেশ্য ছিল বেসামরিক নাগরিকদের থেকে হামাস যোদ্ধাদের আলাদা করা। জাবালিয়া বা অন্যান্য উত্তরাঞ্চল থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনার কথাও তারা অস্বীকার করেছে।

তবে বাসিন্দা ও চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী বাড়িঘরে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাসপাতাল ঘেরাও করে রেখেছে। ক্যাম্প ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে সেখানে চিকিৎসা ও খাদ্যসামগ্রী প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে দখলদার বাহিনী।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা হাসপাতাল খালি বা রোগীদের ছেড়ে দেওয়ার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ অনেকের অবস্থা গুরুতর এবং এই আদেশ অযৌক্তিক।

এদিন কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার আল-মাগজাইয়ের শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় ১১ জন এবং নুসিরাতের নিকটবর্তী শিবিরে অপর এক হামলায় চারজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফা শহরে দুটি পৃথক হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, উত্তর গাজা উপত্যকার শাতি ক্যাম্পে সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) চিকিৎসকেরা জানান, ইসরায়েলি হামলায় জাবালিয়ায় কমপক্ষে তিনটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং অন্তত ৮৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়।

আজ শনিবার গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান সামরিক হামলায় গত দুই সপ্তাহে গাজার উত্তরে ৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গত ৬ অক্টোবর দখলদার সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে জাবালিয়া, বেত লাহিয়া এবং বেত হানুনসহ উত্তর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু এলাকা থেকে ৪০০ জনেরও বেশি শহিদকে উদ্ধার করেছি।

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র