হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

লেবাননে ৩৭০০ লাশ পড়ার পর আজ হতে পারে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি

এক বছরের বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল ও লেবাননে। ছবি: সংগৃহীত

লেবাননে এক বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির হামলায় লেবাননে অন্তত ৩ হাজার ৭০০ জন নিহত হয়েছেন। অবশেষে, এতগুলো মানুষের প্রাণহানির পর আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধবিরতির। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ খুব শিগগির হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার চার শীর্ষস্থানীয় লেবানিজ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘আমরা (যুদ্ধবিরতির খুব) কাছাকাছি। তবে সবকিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই সম্পন্ন হয় না।’ এ ছাড়া, ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা আজ মঙ্গলবার লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির ওপর ‘ভোট’ বা সিদ্ধান্ত দিতে যাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা পরামর্শের পর চুক্তির প্রতি ‘সিদ্ধান্তমূলক ইতিবাচক’ সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। জেরুজালেমের এক শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা আজ মঙ্গলবার একটি চুক্তির অনুমোদনের জন্য বৈঠক করবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অবশ্যই এখন পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে মর্মে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে ওই শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকের উদ্দেশ্য চুক্তির খসড়া অনুমোদন।

যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য কূটনৈতিক অগ্রগতির মধ্যে ইসরায়েল হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ডানোন বলেছেন, যেকোনো চুক্তির অধীনে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হামলার ক্ষমতা বজায় থাকবে। লেবানন অনেক আগেই এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, দুপক্ষের মধ্যে বিভেদ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, তবে এখনো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বাকি। তিনি বলেন, ‘চুক্তির সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলো প্রায়ই শেষের দিকে (আলোচনার জন্য তোলা) থাকে, তাই শেষ পর্যায়টি সবচেয়ে কঠিন। আমরা যতটা সম্ভব জোর দিচ্ছি কাজটি শেষ করতে।’

বৈরুতে লেবাননের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার এলিয়াস বু সা’আব রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে তেমন কোনো গুরুতর বাধা নেই। যদি না নেতানিয়াহু তাঁর মত বদলান।’ তিনি বলেন, প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার এবং ৬০ দিনের মধ্যে সীমান্ত অঞ্চলে নিয়মিত লেবানিজ সেনা মোতায়েন।

এদিকে, ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে শুরু হতে যাওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত মানা হচ্ছে কিনা—তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব কে নেবে, এই বিষয়ে এক বিতর্ক বিগত ২৪ ঘণ্টায় সমাধান হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতিত্বে এবং ফ্রান্সসহ পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু