হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

সন্তান জন্ম দিতে প্রমোদতরী, প্রাসাদ, আর কী চাইলেন আরব শেখের স্ত্রী

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় সৌদি আরবের এক নারী ও তাঁর মিলিয়নিয়ার স্বামী আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাস করেন। বিলাসী জীবন-যাপন করা এই দম্পতি বর্তমানে সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে সন্তান নেওয়ার শর্ত হিসেবে স্বামীর কাছে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল এক তালিকা উপস্থাপন করেছেন স্ত্রী। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই তালিকা প্রকাশও করেছেন তিনি। এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্তান জন্মের জন্য দাবি-দাওয়া সহ সৌদি নারীর ভিডিওটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। তালিকাটিতে প্রথম শর্ত ছিল—ছেলে কিংবা মেয়ে হোক, দুবাইয়ের বিখ্যাত বুর্জ আল আরব ভবনে লেজার শোয়ের মাধ্যমে তার লিঙ্গ প্রকাশ করতে হবে। এই বিষয়টি বুর্জ আল আরব ভবনে প্রায় সময় দেখা যায়। যেমন—কারও ছেলে হলে পুরো ভবনজুড়ে লেখা হয়, ‘ইটস অ্যা বয়!’ এর জন্য খরচ হবে অন্তত ১ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কোটি টাকারও বেশি। 

তালিকাটির দ্বিতীয় শর্ত ছিল—যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সার্জনদের দিয়ে ‘মমি মেকওভার’ করাতে হবে। এটি হলো এমন একটি প্লাস্টিক সার্জারি যার মাধ্যমে সন্তান জন্মের পর একজন মায়ের শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এর জন্য খরচ হবে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ৬৪ লাখের বেশি। 

তিন নম্বর শর্তটি সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে—তার ওপর নির্ভর করবে। যদি মেয়ে হয় তবে তার জন্য বহু মূল্যবান একটি ‘ডিওর কালেকশন’ চান ওই সৌদি নারী। আর ছেলে হলে দিতে হবে একটি সুপার ইয়ট বা প্রমোদতরী। দাম উল্লেখ না করলেও ক্ষেত্রবিশেষে একটি সুপার ইয়টের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

চার নম্বর শর্তে আছে সন্তানের আবাসন ব্যবস্থা। সন্তান থাকলে তাকে দেখাশোনার জন্য অনেক কর্মীও লাগবে। এসব বিবেচনা করে অন্তত ২০ বেডরুমের একটি প্রাসাদ চেয়েছেন আরব শেখের স্ত্রী। 

তালিকাটি প্রকাশ করে এর ক্যাপশনে ফলোয়ারদের উদ্দেশে ওই নারী লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় এগুলো বেশ যুক্তিযুক্ত। আপনি কী মনে করেন?’ 

ভাইরাল ওই ভিডিওতে অসংখ্য নেটিজেন মন্তব্য করে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। তবে বেশির ভাগই ওই নারীর ঐশ্বর্যপূর্ণ ও বিলাসী জীবন এবং অত্যধিক চাহিদার সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ গাজার বর্তমান পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেছেন। 

একজন লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বে কী ঘটছে, তা ভাবলে এগুলোকে আপনার কাছে আপত্তিকর মনে হবে।’ 

রমজান মাস ও গাজা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে আরেকজন লিখেছেন, ‘এই ধরনের বিষয়বস্তু শেয়ার করা স্থানীয় ইমেজ এবং পরিস্থিতিগুলো সম্পর্কে ভুল ধারণা দেয়। এটি অবিবেচনাপ্রসূত, বস্তুবাদী এবং সময়ের জন্য আপত্তিকর।’ 

এক নারী অবশ্য মজা করে লিখেছেন, ‘আমার কাছে খুব যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে। আপনার স্বামীর কি কোনো ভাই আছে?’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা