হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

মৃত্যুকূপ হয়ে উঠেছে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল: ডব্লিউএইচও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন। প্রতিনিধিদলটি হাসপাতালটিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় অতিবাহিত করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, হাসপাতালে অবস্থান করা প্রায় আড়াই হাজার লোককে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে ২৫ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২টি নবজাতকসহ ২৯১ জন রোগী ভর্তি রয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালের প্রবেশমুখে গণকবর এবং কামানের গোলাবর্ষণ ও গুলির প্রমাণ দেখেছে তারা। 

প্রতিনিধিদল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা ও সামরিক অভিযানের জের ধরে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে দু-তিন দিন ধরে বেশ কয়েকজন রোগী কিংবা আহত ব্যক্তি মারা যায় সেখানে। এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে অবস্থানরত বাকি স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও তাঁদের স্বজনদের শিগগিরই স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে ডব্লিউএইচও। 
 
তবে হাসপাতাল থেকে রোগীদের স্থানান্তর করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কথা শোনা গেছে। হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রোগীদের স্থানান্তর করতে বলেছে। আর ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ভাষ্য হলো, হাসপাতালের পরিচালকই রোগীদের সরিয়ে নিতে চান। 

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। 

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী। 

গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। 

অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

জানুয়ারিতেই হতে পারে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

তীব্র শীতে গাজায় প্রাণ সংহারকারীর ভূমিকায় ‘বায়রন’, নিহত অন্তত ১৪

ইরানে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি গ্রেপ্তার

এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ

ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের শর্তে গাজায় এক দশকের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাসের

সিরিয়ায় এক বছরে ৬০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, দখল করেছে ভূমি