গত রোববার হেদার ঘোরবানি নামের এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। সম্ভ্রান্ত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড করপসের (আইআরজিসি) তিন সদস্যকে হত্যার অভিযোগে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে—এমন দাবিতে দেশটির কুর্দিস্তান প্রদেশে গত সোমবার ঘোরবানির বাড়ির সামনে কয়েক শ মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশে হেদার ঘোরবানির নিজ শহরে তাঁকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করছে মানুষ। গত রোববার তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর থেকেই এ বিক্ষোভ শুরু হয়। আইআরজিসির তিন সদস্যকে হত্যার বাইরে ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ান কুর্দিস্তানের (পিডিকেআই) সদস্য হওয়াও অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঘোরবানির ফাঁসির রায়ে। ইরানে অবস্থানরত কুর্দিদের জন্য বড় ধরনের স্বায়ত্তশাসনের জন্য বিদেশে তৎপরতা চালায় পিডিকেআই।
চলতি বছর ইরানের সর্বোচ্চ আদালতে ঘোরবানির ফাঁসির রায় বহাল রাখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এ রায় বাতিলের দাবি জানায়।
সম্প্রতি ইরানে ফাঁসির ঘটনা বেড়েছে। ২০২০ সালে দেশটিতে অন্তত ২৪৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা চীনের পর সর্বোচ্চ।