হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে ইসরায়েলের হামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত কুখ্যাত এভিন কারাগারে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না বা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতটা গুরুতর, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এভিন কারাগারটি রাজনৈতিক বন্দীর জন্য কুখ্যাত। এখানে বহু রাজনৈতিক বন্দী, দ্বৈত ও পশ্চিমা নাগরিককে আটক রাখা হয়েছে, যাঁদের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র প্রায়শই পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের জন্য ব্যবহার করে।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার এক দিন পর ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল তেহরানের এই কারাগারসহ একাধিক স্থানে হামলা শুরু করে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার জন্য ইরানি স্বৈরশাসককে পূর্ণ শক্তি দিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে।

এভিন কারাগার ছাড়াও ইসরায়েলি বিমানবাহিনী আজ সোমবার অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে আধা সামরিক ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নিরাপত্তা সদর দপ্তর, তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ার ও আধা সামরিক বাসিজ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, যা আইআরজিসির একটি অংশ।

এভিন কারাগার কেন কুখ্যাত

এভিন কারাগার ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে এটি ইরানের সবচেয়ে কুখ্যাত বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। এটি মূলত রাজনৈতিক বন্দী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, মানবাধিকারকর্মী, দ্বৈত নাগরিক ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত বিদেশি নাগরিকদের আটক রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

এই কারাগারে পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে নির্যাতন, মারধর, বৈদ্যুতিক শক, ভুয়া মৃত্যুদণ্ড, দীর্ঘস্থায়ী নির্জন কারাবাস, জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কারাগারের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও বন্দীদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার প্রমাণ মেলে।

ফিলিস্তিন স্কয়ার

তেহরানের ফিলিস্তিন স্কয়ার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক স্থান। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের আগে এটি ইসরায়েলের দূতাবাস ছিল। বিপ্লবের পর এর নামকরণ করা হয় এবং ফিলিস্তিনি দূতাবাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে একটি বড় বিলবোর্ড রয়েছে, যেখানে ‘জায়নবাদী শাসনের’ (ইসরায়েলকে বোঝানো হয়) বিলুপ্তির দিন গুনছে একটি ইলেকট্রনিক কাউন্টার। এটি ইসরায়েলবিরোধী প্রচারণার একটি প্রতীকী স্থান।

বাসিজ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী

বাসিজ হলো ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি আধা সামরিক স্বেচ্ছাসেবক মিলিশিয়া। এটি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখা, শাসনব্যবস্থার ওপর সামাজিক নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা, জননৈতিকতা প্রয়োগ (মোরালিটি পুলিশ), ভিন্নমত দমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করে। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বাহিনী ইরানে বিক্ষোভ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি ইরানের শাসকগোষ্ঠীর ‘চোখ ও কান’ হিসেবে পরিচিত।

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার