ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। এ ছাড়া দেশটির অন্যান্য শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ও সংস্থাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, খামেনি এখনো বিষয়টির স্বীকৃতি দেননি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবারই ইরানের প্রেসিডেন্টসহ দেশটির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচিত সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
ইরানের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় বিষয়ে সাধারণত শেষ সিদ্ধান্ত দেন খামেনিই। তাই তাঁর পক্ষ থেকে কবে, কী ধরনের বক্তব্য আসবে, সেটির দিকেই এখন নজর রাখছে ইরানসহ গোটা বিশ্ব। গুজব, খামেনি রাজধানী তেহরানের তাঁর নিয়মিত বাসভবন ছেড়ে এখন একটি নিরাপদ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে এ খবরের আনুষ্ঠানিক কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
খামেনিকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গেছে ১৮ জুন। সেদিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত আগে ধারণ করা এক বার্তায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আত্মসমর্পণে’র আহ্বান উড়িয়ে দেন।
যুদ্ধবিরতির আগপর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টগুলো সক্রিয় ছিল। তবে ১৩ জুন ইসরায়েলের ইরানে হামলার পর তিনি আর জনসমক্ষে আসেননি। ওই হামলার পরও একটি আগে ধারণ করা বার্তা সম্প্রচার করেছিল ইরান। খামেনির সর্বশেষ জনসমাগমের ছবি পাওয়া যায় ১১ জুন। সেদিন তিনি ইরানের পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।