হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন আলোচনায় প্রস্তুত হামাস-ইসরায়েল

১৫ মাসের সামরিক অভিযানে গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। ফাইল ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নতুন করে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। ইসরায়েলি হামলায় হামাসের প্রধান ইয়াহইয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এই বিষয়টি সামনে এল। তবে হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা হলে কোনো চুক্তি হবে না।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার লক্ষ্যে কাতার যাবেন। সেখানে তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

গত সপ্তাহে হামাসের শীর্ষ নেতা সিনওয়ার নিহত হওয়ার পরপরই ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে তিনি উভয় দেশকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে। কিন্তু সেসব প্রচেষ্টার একটিও সফল হয়নি।

এদিকে, হামাসের এক শীর্ষ নেতা এএফপিকে জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার হামাসের কাতারে অবস্থানরত শীর্ষ নেতারা গাজা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন নিয়ে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তিনি জানান, কায়রো অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হামাসের নেতারা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নিজের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামাস যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে, গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, বাস্তুচ্যুত লোকদের ফিরে আসার অনুমতি দিতে হবে, জরুরি ভিত্তিতে বন্দী বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।’ তিনি জানান, কায়রোর বৈঠক ছিল যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য মিশ রের চলমান প্রচেষ্টার অংশ।

অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে মিসরে প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কায়রো বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানকে আগামী রোববার যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতারের যাওয়ার এবং ‘এজেন্ডায় থাকা একাধিক উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য’ নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার জানিয়েছিল যে, দোহায় শিগগির গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আবার শুরু হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল, সৌদি আরব ও কাতার সফর করার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাত্র দেড় সপ্তাহ আগের এই সফর শেষে ব্লিঙ্কেন বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের নতুন নতুন সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে যাতে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করা যায়।

এদিকে, হামাস নেতা ওসামা হামদান লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিনকে বলেছেন, ‘গাজায় (ইসরায়েলি) আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দখলদারদের সঙ্গে কোনো বন্দী বিনিময় চুক্তি হবে না।’ হামদান স্পষ্ট করে বলেন, ‘হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তির জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হবে।’

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র