কাতারের সৌক ওয়াকিফে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশি আমের উৎসব ‘আল হামরা এক্সিবিশন’-এর প্রথম আসর গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। ছয় দিনের এই উৎসবে প্রায় ৭০ টন আম বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌক ওয়াকিফ কর্তৃপক্ষ।
কাতারি সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার সব টাটকা আম বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর মেলা শেষের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রথমে উৎসবটি মঙ্গলবার পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
সৌক ওয়াকিফ কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুসারে, এবারের আম উৎসবে প্রায় ১ লাখ দর্শনার্থী এসেছিলেন। আল রাইয়ান টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উৎসবের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক খালিদ সাইফ আল-সুয়াইদি জানান, উৎসবের প্রথম দিন থেকেই দর্শনার্থীদের মধ্যে দারুণ সাড়া পাওয়া গেছে।
সৌক ওয়াকিফের পূর্ব চত্বরে আয়োজিত এই উৎসবে বাংলাদেশি ২০ জাতের আম প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।
প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস (পিইও) এবং কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে আম ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আনা বিভিন্ন আমজাতীয় পণ্য এবং তাজা ফলমূল বিক্রি হয়।
উৎসবে আম্রপালি, ল্যাংড়া, কাটিমন, ক্ষীরসাপাতি, ফজলি, গোপালভোগ, হাঁড়িভাঙা, লেইম আম, কলা আম, হিমসাগর এবং লক্ষ্মণভোগসহ বাংলাদেশের জনপ্রিয় নানা জাতের আম প্রদর্শিত হয়।
এ ছাড়া লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, পেয়ারাসহ বুবি ফল (বাকুরিয়া মোটলেয়ানা) এবং আনারসও বিক্রি হয়।
আল-সুয়াইদি আরও জানান, সৌক ওয়াকিফে আগামী ১০ জুলাই শুরু হবে পাকিস্তানি আমের উৎসব।