ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণসহ দেশটিকে মোকাবিলায় অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতির সঙ্গে বৈঠক করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ ও হামাসের একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বিষয়টি জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে হামাস ও হুতি সম্মিলিতভাবে ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ নামে পরিচিত। এ ছাড়া এই অক্ষে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইরাকের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্বের দাবি, এই প্রতিরোধ অক্ষ ইরানের অর্থায়ন ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পরিচালিত হয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করার কিছুদিন পরই হুতি গোষ্ঠী ঘোষণা দেয় তারা এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাবে। এরপর বিভিন্ন সময়ে তারা লোহিতসাগর ও এডেন উপসাগরে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সূত্র গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, গত সপ্তাহে হুতি প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক’ করেছেন হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফিলিস্তিনের মার্কসবাদী দল লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতারা। তবে এই বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানাননি তাঁরা।
সূত্র জানিয়েছে, গোষ্ঠীগুলো গাজায় চলমান যুদ্ধের ‘পরবর্তী পর্যায়ে নিজেদের কর্মকাণ্ড সমন্বিত উপায়ে পরিচালিত করার কৌশল’ নিয়ে আলোচনা করেছে। বৈঠকে ইসরায়েলের রাফাহ স্থল অভিযানের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
হামাস ও ইসলামিক জিহাদ সূত্র বলেছে, হুতিরা নিশ্চিত করেছে যে, তারা ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকে সমর্থন করার লক্ষ্যে’ লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজে আক্রমণ চালিয়ে যাবে। কেবল তাই নয়, গত বৃহস্পতিবার হুতি নেতা আবদুল মালেক আল-হুতি বলেছেন, লোহিতসাগর এড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়েও যেসব জাহাজ ইসরায়েল অভিমুখে যাবে, সেগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করবে তারা।