বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) বিদেশি তহবিল সংগ্রহে নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও তাদের কার্যক্রম সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েল সরকার। তবে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনার মুখে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইন পুনর্বিবেচনা করছে তেল আবিব। বিষয়টি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশকে জানিয়েও দিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি এনজিওগুলোর জন্য বিদেশি তহবিল সংগ্রহকে লক্ষ্য করে একটি প্রস্তাবিত আইনের তীব্র সমালোচনা করছে ইউরোপের দাতা দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবিত আইনটি উপস্থাপন করা হবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবার পরীক্ষা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তেল আবিব। প্রস্তাবটি প্রাথমিকভাবে আইনে পরিণত করার জন্য মন্ত্রীপর্যায়ের কমিটির কাছে রোববারের (২৭ মে) বৈঠকে উপস্থাপনের কথা ছিল।
গত সপ্তাহের শুরুতে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিদেশি তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা সীমিত করার প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করে। পরে তাদের সঙ্গে সমালোচনায় যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল সরকারের ওই প্রস্তাবটির তীব্র সমালোচনা করেছে বাইডেন প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে জার্মানির রাষ্ট্রদূত স্টিফেন সিবার্ট টুইট করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ইসরায়েলের অনেক অংশীদারের মতো তাঁর সরকারও এই প্রস্তাবিত আইনকে ‘গুরুতর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখে। জার্মানি ‘তার ইসরায়েলি বন্ধুদের সঙ্গে’ বিষয়টি বারবার উত্থাপন করবে।