গাজা উপত্যকায় মসজিদ ও স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে গাজার দেইর আল–বালাহ শহরের আল–আকসা শহীদ মসজিদ ও ইবনে রুশদ স্কুলে এ হামলা হয়।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেনে এ খবর জানিয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৯৩ জন আহত হয়েছেন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল একটি মসজিদ ও একটি স্কুল, যেখানে বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, আল-আকসা হাসপাতালের নিকটবর্তী দেইর আল-বালাহ এলাকার ওই মসজিদ এবং ইবনে রুশদ স্কুলে হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসীদের ওপর সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ওই মসজিদ ও স্কুলটিকে কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সম্ভাবনা কমাতে আক্রমণের আগে নির্ভুল অস্ত্রের ব্যবহার, আকাশ পর্যবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত গোয়েন্দা তথ্যসহ অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছে আইডিএফ।
আইডিএফ জনসাধারণকে সতর্ক করেছে, উত্তর গাজাকে এখনো একটি বিপজ্জনক যুদ্ধ অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আইডিএফ রোববার উত্তর গাজার সম্ভাব্য হামলার স্থান চিহ্নিত করে একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে।
বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিও থেকে দেখা গেছে, মসজিদের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মরদেহ এবং রক্ত পড়ে আছে। স্কুলের ফুটেজে দেখা গেছে, বিদ্যালয় আগুনে জ্বলছে এবং একজন ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দখলদারদের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ৪২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষই। তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে প্রায় সব ফিলিস্তিনি।
এই ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। গাজায় সহিংসতা থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও থামছে না ইসরায়েলি বর্বরতা।