চলমান ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পানি সরবরাহব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। পানি কিংবা পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার সংকট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের সদস্য রিকার্ডো মার্টিনেজ যুদ্ধের মধ্যে চার সপ্তাহ গাজায় ছিলেন। ত্রাণসহায়তাকারী সংস্থার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই শঙ্কার কথা বলেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রিকার্ডো মার্টিনেজ বলেন, ‘গাজায় লোকজনকে সীমাবদ্ধতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। লোকজন সর্বোচ্চ এক লিটার পানি পাচ্ছে, যা পান করার পাশাপাশি ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হয়। পানি ছাড়াও গাজার কোনো কোনো জায়গায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই, যা বাসিন্দাদের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তুলছে।’
রিকার্ডো মার্টিনেজ আরও বলেন, ‘জ্বালানি ছাড়া মিলগুলো চলে না। তাই গম, খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না। মিসর থেকে আসা দাতা সংস্থার ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে স্থানীয় ট্রাকে মালপত্র তুলে দিচ্ছে। তবে জ্বালানি না থাকায় গাজার ট্রাকগুলোও চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে সম্ভব হচ্ছে না ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও।’
এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ডেইলি টেলিগ্রাফে ব্রিটেনের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস লিখেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার আক্রমণ ‘আরও ৫০ বছরের জন্য সংঘাতের ইন্ধন জোগাবে’।