হোম > বিশ্ব > ভারত

ফরিদাবাদ ইউনিভার্সিটির রুমে বসে দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা, ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গত সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ হয়েছিল। ছবি: পিটিআই

রাজধানী দিল্লি থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফরিদাবাদের আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি। সম্প্রতি লালকেল্লায় ঘটে যাওয়া গাড়ি বিস্ফোরণের পরিকল্পনার ‘কেন্দ্র’ হিসেবে দেখা হচ্ছে স্থানটিকে। এ ছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই চার চিকিৎসককে কেন্দ্র করে এগোচ্ছে, যাঁদের পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাঁদের সঙ্গে এই চিকিৎসকদের কোনো সংযোগ নেই।

গত সোমবার লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ধীরগতিতে চলতে থাকা একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়ি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গাড়িটির চালক হিসেবে ডা. উমর মুহাম্মদকে শনাক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ওই দিনই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশ থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের মধ্যে তিন চিকিৎসক ছিলেন।

তদন্তকারী ও পুলিশের সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ নামের ওই তিন চিকিৎসক ডা. উমরের সঙ্গে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেই হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন আর তাঁদের পরিকল্পনার কেন্দ্র ছিল ৭০ একরজুড়ে বিস্তৃত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১৩ নম্বর কক্ষটি ছিল ডা. মুজাম্মিলের, সেখানেই সবাই মিলিত হতেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই কক্ষেই দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

জানা গেছে, এই চার চিকিৎসক দিল্লিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য ২০ লাখ টাকার একটি তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) বা রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।

তহবিল থেকে পুরো অর্থ ডা. উমরকে সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছিল। পরে গুরুগ্রাম, নুহ ও অন্যান্য নিকটবর্তী বাজার থেকে ৩ লাখ টাকায় কেনা হয় প্রায় ২৬ কুইন্টাল (২৬০০ কেজি) এনপিকে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম) সার। এই সার আইইডি (বোমা) তৈরির জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে বোমা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি থেকে রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা করে। ল্যাবটি মুজাম্মিলের কক্ষ থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে। ডা. উমর ও শাহীন উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য ছিলেন, তাঁরা রাসায়নিকের ব্যবস্থা করেন। এরপর তা ফরিদাবাদের ধৌজ ও তাগা গ্রামের ভাড়া করা স্থানে মজুত করা হয়।

ডা. মুজাম্মিলের কক্ষটি এখন সিলগালা করা হয়েছে। সেখান থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও পেন ড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া কোড শব্দ ও এনক্রিপ্টেড বার্তাভর্তি দুটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ব্যবহৃত কক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব উভয় স্থান থেকেই রাসায়নিকের অবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, ল্যাব থেকে পাচার করা রাসায়নিকগুলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সঙ্গে অক্সিডাইজার মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে এএনএফও (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জ্বালানি তেল মিশ্রিত একটি বিস্ফোরক যৌগ) ব্যবহৃত হয়েছিল। এর আগে ফরিদাবাদের অভিযানেও পুলিশ ৩৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ ২ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল।

পুলিশ এখনো ডা. উমরকে আটক করতে পারেনি। তবে ডা. মুজাম্মিল শাকিল, আদিল ও শহীদ সাঈদ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

হাদির খুনিদের দুই সাহায্যকারীকে আটকের দাবি নাকচ করল মেঘালয় পুলিশ

ধর্ষণের শিকার নারীকে বিজেপি নেত্রীর স্বামী বললেন, ‘আমার কিছুই হবে না’

বেঙ্গালুরুতে ‘বুলডোজার রাজ’: ৪০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ, তোপের মুখে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ফের উদ্বেগ জানাল ভারত

আতঙ্ক ও উত্তেজনার মধ্যে ভারতে বড়দিন ‘উদ্‌যাপন’

ওডিশায় পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম তরুণকে ‘বাংলাদেশি’ বলে পিটিয়ে হত্যা

‘বাংলাদেশি’ তকমায় এক বছরে ২২০০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

তাজমহল একসময় মন্দির ছিল—মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর মন্তব্যে নতুন বিতর্ক

বড়দিন ঘিরে খ্রিষ্টানদের ওপর চড়াও ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা, উত্তেজনা তুঙ্গে