বিহার রাজ্যের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) কার্যক্রম শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)। সংশোধিত তালিকায় রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ দশমিক ৮ কোটি, চূড়ান্ত তালিকায় তা কমে ৭ দশমিক ৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ভোটার কমেছে প্রায় ৩৮ লাখ।
তবে নারী ভোটারদের ক্ষেত্রে হ্রাস আরও উল্লেখযোগ্য।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বিহারে পুরুষ ভোটার কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ (১৫ দশমিক ৫ লাখ) আর নারী ভোটার কমেছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ (২২ দশমিক ৭ লাখ)। এই বৈষম্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ, রাজ্যে নারী ভোটারদের প্রধান দুই জোটের জন্যই প্রধান ভোটব্যাংক হিসেবে ধরা হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায় নারী ভোটার বাদ পড়ার হার সর্বোচ্চ, ১৫ দশমিক ১ শতাংশ বা ১ দশমিক ৫ লাখ ভোটার কমেছে সেখানে। জানুয়ারির ১০ দশমিক ৩ লাখ থেকে চূড়ান্ত তালিকায় তা কমে ৮ দশমিক ৮ লাখ হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন ঘটেছে মধুবনী জেলায়। সেখানে ১ দশমিক ৩ লাখ নারী ভোটার বাদ পড়েছেন। অন্যদিকে পূর্ব চম্পারণ জেলায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বা ১ দশমিক ১ লাখ নারী ভোটার কমেছে।
বিহারের সরন ও ভাগলপুর জেলায় প্রায় ১ লাখ করে নারী ভোটার কমেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই পাঁচ জেলা হয় কোনো প্রতিবেশী রাজ্য বা প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে অবস্থিত। গোপালগঞ্জ ও সরন উত্তর প্রদেশের সীমান্তে, মধুবনী ও পূর্ব চম্পারণ নেপালের সীমান্তে এবং ভাগলপুর ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে অবস্থিত।