ভারতের খড়্গপুরে নারী কাউন্সিলের চাঁদাবাজি ঠেকাতে গিয়ে বিজেপির দলীয় কার্যালয়েই জুতাপেটার শিকার হলেন দলের নেতা। খড়্গপুরে তৃণমূলের অন্দরমহলে বিবাদ-অভিযোগ নতুন কিছু নয়, তবে বিরোধী শিবিরে এমন কাণ্ড তেমন একটা দেখা যায় না।
গত শনিবার খড়্গপুর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মমতা দাসকে দেখা যায় সহকর্মী বিজেপি নেতা অশোক সিংহকে জুতা দিয়ে মারতে। কার্যালয়ে উপস্থিত বাকিরা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মমতা অশোকে গায়ে অন্তত দুবার জুতার আঘাত করেছেন।
অশোকও উত্তেজিত হয়ে জুতা খুলে এগিয়ে গেলেও ক্যামেরা দেখে তা নামিয়ে নেন। পরমুহূর্তেই বলেন, ‘মহিলা হওয়ার সুযোগ নিয়ে মারছে। এখনই আমি পুলিশ ডাকছি।’
অভিযোগ ওঠে, ওয়ার্ডের এক চাউমিন বিক্রেতার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন মমতা দাস। অশোক সিংহ এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের মধ্যে বিবাদের শুরু হয়।
অশোক বলেন, ‘২০২২ সালে আমি ওকে জিতিয়ে এনেছিলাম, এখন উল্টো আমাকে মারছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তি চাউমিনের দোকান বসাতে চাইছিল। এর জন্য টাকা চেয়েছে। আমি সেটা আটকাতে গেলে অফিসে গিয়ে জুতা দিয়ে মারল।’
এই অভিযোগ অস্বীকার করে মমতা দাস বলেন ভিন্ন কথা। তিনি দাবি করেন, অশোক আগে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেছেন, হাত তুলেছেন এবং বারবার তাঁর নামে বদনাম রটিয়েছেন।
মমতা বলেন, ‘প্রয়োজনে আবারও মারব। আমি চোর নই, ও চোর।’
এ নিয়ে বিজেপিতে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা বিজেপি নেতা অরূপ দাস বলেন, ‘এ ধরনের আচরণ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল, এখানে এমন ঘটনা চলবে না। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা কটাক্ষ করে বলেন, ‘অশোক নিজেই তোলাবাজ। তোলার ভাগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। বিজেপির এটাই সংস্কৃতি।’