ভারতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিজ দলের প্রতি দায়বদ্ধতা কমছে। গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া রাজ্যসভার নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এরই প্রমাণ পাওয়া গেছে। ভারতের ৪ রাজ্যের ১৬টি রাজ্যসভা আসনে একাধিক বিধায়ককে দলের হুইপ অমান্য করে অন্য দলকে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে।
কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় এই ক্রস ভোটে বিজেপি লাভবান হলেও একই কারণে রাজস্থানে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেখানকার শাসক দল আবার বিজেপির বিধায়কের ক্রস ভোট আদায় করে নিয়েছে।
ক্রস ভোটে হেরে হরিয়ানার কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মাকেন প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতে গণতন্ত্র কোথায়? শুক্রবার ৪ রাজ্যের ১৬ কেন্দ্রের ভোট হলেও আগেই ৪১ কেন্দ্র থেকে প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হন। বিনা ভোটে জয়ীদের মধ্যে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন ১১ জন। কংগ্রেসের ৫।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা দূরে থাক নিজ দলের ঐক্য ধরে রাখতে ব্যর্থ। তবে ব্যতিক্রম রাজস্থান। সেখানে বিজেপি বিধায়কের ভোট ভাঙিয়ে এনেছে কংগ্রেস। তবে আসামের পর হরিয়ানা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রে ক্রস ভোট উদ্বেগ বাড়িয়েছে কংগ্রেসের। দলীয় টিকিটে জিতে অন্য দলে যোগদানের পাশাপাশি দলের হুইপ অমান্য করার ঘটনাও বাড়ছে ভারতে।
তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে রাজ্যসভায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি বিজেপি। কংগ্রেসের মতো পাল্লা দিয়ে তারাও দলীয় বিধায়কদের হোটেলে নজরবন্দী করে রেখেছিল। তাই ১৬ টির মধ্যে ৭ আসন নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছে ৫টি আসন। জয়ীদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, কংগ্রেস নেতা রণদ্বীপ সিং সুরজেওয়ালা, জয়রাম রমেশ প্রমুখ।