হোম > বিশ্ব > ভারত

নব্বইয়ের দশকের রাশিয়া-ভারত-চীন জোট পুনরুজ্জীবিত করতে তোড়জোড়, দিল্লির অনীহা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ভারত খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও চীনের পক্ষ থেকে রাশিয়া-ভারত-চীন (আরআইসি) জোটকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারত আপাতত এই ফরম্যাটে কোনো বৈঠকে সম্মত হয়নি।

সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আরআইসি ফরম্যাটের কোনো বৈঠকে সম্মতি দেওয়া হয়নি। এর সময়সূচি নিয়েও কোনো আলোচনা চলছে না।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রাশিয়া-ভারত-চীন ত্রিদেশীয় জোট প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে তিনটি দেশ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়। যখন এই বৈঠক হবে, আমরা পারস্পরিক সুবিধাজনক একটি তারিখ নির্ধারণ করে আপনাদের জানাব।’

রাশিয়া-ভারত-চীনেের (আরআইসি) মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সংলাপ পশ্চিমা আধিপত্যের ভারসাম্য রক্ষায় একটি ত্রিপক্ষীয় ইউরেশীয় শক্তি তৈরি করার আশা করা হচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মন্তব্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের কয়েক মাস পর এল। লাভরভ বলেছিলেন, এই জোটের কাজ পুনরায় শুরু করা উচিত।

লাভরভ গত জুনে বলেছিলেন, ‘আমি ত্রিপক্ষীয় জোট-রাশিয়া, ভারত, চীনের কাজ দ্রুত পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আমাদের প্রকৃত আগ্রহ নিশ্চিত করতে চাই, যা বহু বছর আগে ইয়েভগেনি প্রিমাকভের (সাবেক রুশ প্রধানমন্ত্রী) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এরপর থেকে মন্ত্রী পর্যায়ে ২০ বারের বেশি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। কেবল পররাষ্ট্রনীতি প্রধানদের স্তরেই নয়, তিনটি দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও আর্থিক সংস্থার প্রধানদের স্তরেও এসব বৈঠক হয়েছে।’

চীনও রাশিয়া-ভারত-চীন (আরআইসি) জোটকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে রাশিয়ার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে। বেইজিং বলেছে, ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা কেবল তিনটি দেশের স্বার্থই পূরণ করে না, বরং অঞ্চল ও বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সংবাদ পোর্টাল ইজভেস্তিয়া রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কোর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মস্কো আরআইসি ফরম্যাট পুনরায় শুরু করার আশা করছে এবং এ বিষয়ে বেইজিং ও নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করছে। রুদেঙ্কো বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের উভয় দেশের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে। আমরা এই ফরম্যাটটি কার্যকর করতে আগ্রহী, কারণ এই তিন দেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, এ ছাড়া তারা ব্রিকসের প্রতিষ্ঠাতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, এই ফরম্যাটের অনুপস্থিতি, আমার মতে, সঠিক দেখাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা আশা করি যে দেশগুলো আরআইসি কাঠামোর মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করতে অবশ্যই সম্মত হবে। এই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক যখন এমন একটি স্তরে পৌঁছাবে যা তাদের ত্রিপক্ষীয় ফরম্যাটে কাজ করার অনুমতি দেবে, তখনই আরআইসি শুরু করা উচিত।’

এর আগে, করোনাভাইরাস এবং এরপর ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে সংঘাতের জেরে সামরিক অচলাবস্থার কারণে এই জোটের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছিল।

এ ছাড়া, ভারত কোয়াডের সদস্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এ জোটে রয়েছে—ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। বেইজিং এটিকে তার উত্থানকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বানানো জোট হিসেবে দেখে। তাই রাশিয়া এবং চীন আরআইসি পুনরুজ্জীবিত করতে বেশি আগ্রহী।

ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে ভারতেও

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

বন্ধু ট্রাম্পকে খুশি করতে মোদির ‘শান্তি’ বিল পাস, বিরোধীদের সমালোচনা

কুয়াশার কারণে পশ্চিমবঙ্গের জনসভায় গেলেন না নরেন্দ্র মোদি

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি

অবসরের আগে ফরমায়েশি রায়, বিচারকদের অসততায় উদ্বিগ্ন ভারতের প্রধান বিচারপতি