ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সাভারকর মানহানি মামলা নাটকীয় মোড় নিয়েছে। কারণ, মূল প্রমাণ হিসেবে আদালতে দাখিল করা সিডি ফাঁকা পাওয়া যায় এবং এর বদলে ইউটিউব ক্লিপ পেশ করার অনুমতি চাওয়া হলে আদালত সেটাও বাতিল করে দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুনের এমপি-এমএলএ আদালতের বিচারক অমল শিন্দে আজ শনিবার অভিযোগকারীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ লন্ডনে এক বক্তব্যে ভারতের হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের জনক বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্যের জেরে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন তাঁর প্রপৌত্র সাত্যকি সাভারকর।
জানা গেছে, আজ শনিবার আদালতে অভিযোগকারীর সাক্ষ্য-গ্রহণের সময় মূল প্রমাণ হিসাবে জমা দেওয়া কমপ্যাক্ট ডিস্ক (সিডি) চালানো হয়। কিন্তু দেখা যায়, সিডিটি সম্পূর্ণ ফাঁকা। অর্থাৎ, তাতে কোনো ভিডিও বা তথ্য নেই।
এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরে সাত্যকি সাভারকরের আইনজীবী সংগ্রাম কোলহাটকর তাৎক্ষণিক আদালতের কাছে আবেদন করেন, যেহেতু সিডি কাজ করছে না, তাই অভিযোগপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া মূল ইউটিউব লিংকটি থেকেই সরাসরি ভিডিওটি চালানো হোক।
কিন্তু রাহুল গান্ধীর পক্ষের আইনজীবী মিলিন্দ পাওয়ার ইউটিউব লিংকটি চালানোর তীব্র বিরোধিতা করেন। বিচারক শিন্দে সেই আপত্তি বহাল রেখে রায় দেন, অনলাইন কনটেন্ট (ইউআরএল) প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এর সঙ্গে ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের ৬৫ (বি) ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক শংসাপত্র (Certificate) জমা দেওয়া হয়নি।
এরপর অভিযোগকারীর আইনজীবী আরও দুটি সিডি পেশ করার অনুরোধ করেন। কিন্তু আদালত সেটিও বাতিল করে দেন। বিচারক বলেন, এই অতিরিক্ত সিডিগুলো প্রমাণ হিসেবে আদালতের নথিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি।
শেষে প্রমাণ দেখাতে না পেরে অভিযোগীর আইনজীবী শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানান। তিনি বলেন, পরের শুনানিতে নতুন সিডি আনবেন। তাঁর আরজি মেনে আদালত মামলার শুনানি পিছিয়ে দেন।