হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

খাদ্যশস্য আমদানি নিষিদ্ধ করায় প্রতিবেশী ৩ দেশের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের মামলা

খাদ্যশস্য আমদানি নিষিদ্ধ করায় প্রতিবেশী স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে মামলা করেছে ইউক্রেন। এ নিষেধাজ্ঞায় কিয়েভ আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

ইউক্রেন থেকে খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশগুলো বলেছে, আমদানি করা সস্তা পণ্য থেকে নিজ দেশের কৃষকদের সুরক্ষা দেওয়াই এই নিষেধাজ্ঞার কারণ। 

গত বছর ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর বন্ধ হয়ে যায় কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের পণ্য সরবরাহ। ইউক্রেনকে তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মধ্য ইউরোপের কৃষকেরা। তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করে বলেছে, ইউক্রেনীয় শস্যের চালান আসায় তাদের নিজস্ব কৃষিপণ্যের বাজার সংকুচিত হয়েছে। 

এসব চাপের ফলে ২৭ সদস্যের ইইউ ব্লক এ বছরের শুরুতে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াতে ইউক্রেনের খাদ্য আমদানির ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপে সম্মত হয়। এই সময়সীমার শেষ হওয়ার দিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ এর নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন। কিন্তু বুদাপেস্ট, ওয়ারশ এবং ব্রাতিস্লাভার সরকার এই সিদ্ধান্ত মানেনি। তারা ইউক্রেনের কৃষিপণ্যের ওপর নিজেরাই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 

গত সোমবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিডেনকো বলেন, ‘আমাদের পক্ষে এটি প্রমাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, সদস্য রাষ্ট্রগুলো পৃথকভাবে ইউক্রেনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারে না। তাই আমরা তাদের (স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরি) বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে মামলা করেছি।’ 

মামলার কোনো প্রভাব নিষেধাজ্ঞায় পড়বে না বলে জানিয়েছে পোল্যান্ড। পোলিশ সরকারের মুখপাত্র পিওতর মুয়েলার বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান বজায় রেখেছি। কারণ আমরা মনে করি সিদ্ধান্তটি সঠিক। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং ইইউ ও আন্তর্জাতিক আইন থেকে প্রাপ্ত ক্ষমতার ফলাফল এই নিষেধাজ্ঞা।’ 

এদিকে, ইউরোপীয় কমিশন বারবার বলেছে যে, পুরো ব্লকের জন্য বাণিজ্য নীতি তৈরির দায়িত্ব ইইউ সদস্যদের ওপর পৃথকভাবে বর্তায় না। 

তবে অন্যান্য দেশের বাজারে ইউক্রেনের শস্য পরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা এখনো দিচ্ছে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া। পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের অন্যতম মূল মিত্র হলেও শস্য আমদানির ইস্যুতে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ। 

সূর্যমুখী তেল, বার্লি, ভুট্টা এবং গমের মতো ফসল রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশ্বে সবার আগে আছে ইউক্রেন। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর সময় কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোয় রুশ নৌবাহিনী রপ্তানিযোগ্য ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে দিয়েছিল। এর ফলে বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়ে যায় এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশগুলোতে খাদ্যঘাটতি সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দেয়। 

কৃষ্ণসাগরের একটি করিডর ধরে ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দরে কার্গো জাহাজগুলো যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সে বছরের জুলাইয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির অধীনে ইউক্রেন থেকে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন টন শস্য পাঠানো হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুসারে, এতে বিশ্বে খাদ্যের দাম প্রায় ২০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে রাশিয়া এ বছরের জুলাইয়ে চুক্তি থেকে সরে আসলে বিশ্বব্যাপী আবারও শস্যের দাম বেড়ে যায়।

এক বছরে ইউক্রেনের ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলের দাবি রাশিয়ার

রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান ট্রাম্প: পুতিন

ক্রিসমাসের প্রার্থনায় পুতিনের মৃত্যু চাইলেন জেলেনস্কি

মস্কোতে বিস্ফোরণ, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত তিন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত জেলেনস্কির

পুতিনের সঙ্গে সিরিয়ার মন্ত্রীদের বৈঠক, আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা

ইউক্রেনের আরও এক শহর রাশিয়ার দখলে, মস্কোয় ড্রোন হামলা

ফিলিস্তিনপন্থী প্ল্যাকার্ড হাতে এবার লন্ডনে গ্রেপ্তার গ্রেটা থুনবার্গ

রেড স্কয়ারে কেন গায়ে আগুন দিলেন রুশ প্রতিরক্ষা কারখানার মালিক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনা প্রকৃত ফলাফলের খুব কাছাকাছি: জেলেনস্কি