রাশিয়া ও ক্রিমিয়াকে সংযোগকারী একমাত্র সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার এই বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কার্চ নামের সড়ক ও রেল সেতুটিতে একটি জ্বালানিবাহী ট্যাংকে আগুন লাগার পর যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় এবং ১৯ কিলোমিটার সেতুটি রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। বর্তমানে সেতুটি রুশ বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
রাশিয়ার ন্যাশনাল অ্যান্টি-টেররিজম কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছে, আজ সকাল ৬টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটে এবং এর ফলে ক্রিমিয়ার দিকে যাওয়া একটি ট্রেনের সাতটি জ্বালানি ট্যাংকার ওয়াগনে আগুন ধরে যায়।
ন্যাশনাল অ্যান্টি টেররিজম কমিটি আরও বলেছে, বিস্ফোরণের ফলে সড়ক সেতুর দুটি অংশ আংশিকভাবে ধসে গেছে।
ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশ গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, সড়ক সেতুর একটি দিক এখনো অক্ষত রয়েছে। তবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছে, আগুন ইতিমধ্যে নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘ঘটনার কেবল শুরু।’ ইউক্রেনের বাহিনী এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মিখাইলো আরও বলেছেন, ‘অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলকৃত সবকিছু অবশ্যই পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পুতিন ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একটি রাষ্ট্রীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ক্রিমিয়ান রিপাবলিক স্টেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ভ্লাদিমির কনস্ট্যান্টিনভ বলেছেন, ‘ক্ষতি মোটেও গুরুতর নয়। শিগ্গিরই সেতুটি মেরামত করা হবে।’