হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বসতে চান জেলেনস্কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদে ২০১৯ সালের এক বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আগামী বৃহস্পতিবার তুরস্কে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে প্রস্তুত। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে জেলেনস্কিকে রুশ প্রেসিডেন্টের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব অবিলম্বে মেনে নেওয়ার কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব এমন এক সময়ে এল যার মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে ইউরোপীয় নেতারা জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দিয়ে আজ সোমবার থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন। তবে, এর পরিবর্তনে পুতিন সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত বিশেষ অভিযান শুরুর প্রথম কয়েক মাসের পর এটিই প্রথম সরাসরি আলোচনা হতে পারে।

তবে পুতিন নিজে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। পুতিন ও জেলেনস্কি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সাক্ষাৎ করেননি এবং একে অপরের প্রতি তাদের মনোভাবও গোপন করেননি। জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব ব্যক্তিগতভাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, এবার রুশরা কোনো অজুহাত খুঁজবে না।’

যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমাক লিখেছেন করেছেন, ‘পুতিন সম্পর্কে কী বলব? তিনি কি ভীত? আমরা দেখতে চাই।’ এর আগে, গত রোববার জেলেনস্কি বেশ সতর্কভাবেই পুতিনের আহ্বানের প্রতিক্রিয়া জানান।

এর আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আগামী ১৫ মে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। পুতিনের বক্তব্যের পরপরই ট্রাম্প আলোচনার শুরুর দাবি জানান। জেলেনস্কিও বলেন, মস্কো ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

কিন্তু ট্রাম্প হাঁটেন ভিন্ন পথে। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চান না, বরং বৃহস্পতিবার তুরস্কে সাক্ষাৎ করে সম্ভাব্য রক্তপাত বন্ধের আলোচনা করতে চান। ইউক্রেনের উচিত এতে অবিলম্বে রাজি হওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্তত তাঁরা নির্ধারণ করতে পারবে যে, একটি চুক্তি সম্ভব কিনা এবং যদি তা না হয়, ইউরোপীয় নেতারা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারবে।’

পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠান। এটি এমন একটি সংঘাতের সূত্রপাত করে যা লাখ লাখ সেনার জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং ১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাতের সৃষ্টি করেছে।

তবে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হওয়ায় ক্রেমলিন প্রধান এখনও পর্যন্ত খুব কম বা কোনো ছাড় দেননি। তবে তিনি সেদিন রাতের ভাষণে ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সরাসরি আলোচনার’ প্রস্তাব দেন।

রাশিয়ার পক্ষে খেলবেন ইউক্রেনীয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সোফিয়া, বাতিল হচ্ছে সব পুরস্কার

ইসরায়েলকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ায় ইউরোভিশন বয়কট ৪ দেশের

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

রাশিয়ার ক্ষমতা দেখাতেই গুপ্তচর স্ক্রিপালকে বিষ প্রয়োগে হত্যার নির্দেশ দেন পুতিন

কড়া নিরাপত্তায় পুতিনের ভারত সফর, রাশিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হলো বুলেটপ্রুফ লিমুজিন

যেভাবেই হোক দনবাস দখলে নেবে রাশিয়া: পুতিন

যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশি–পাকিস্তানি ভর্তি, প্রায় ১২ হাজার ভিসা আবেদন বাতিল

স্মার্টফোন নেই পুতিনের, ব্যবহার করেন না ইন্টারনেটও, কিন্তু কেন