গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া ইউক্রেনের লুহানস্কের পূর্বাঞ্চলে বেশ কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে কিয়েভ। লুহানস্কের পাশাপাশি এর পার্শ্ববর্তী দোনেৎস্ক এবং দেশটির দক্ষিণাঞ্চলেও বেশ অগ্রগতি লাভের দাবি করেছে কিয়েভ। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বুধবার লুহানস্কে ইউক্রেন কর্তৃক নিযুক্ত আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি গাইদাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এই দাবি করেছেন। টেলিগ্রাম বার্তায় সেরহি গাইদাই বলেছেন, ‘লুহানস্ককে দখলদার মুক্তকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা রাশিয়ার সেনাদের কাছ থেকে মুক্ত করা হয়েছে এবং সেখানে আবারও ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।’
কেবল লুহানস্ক নয়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী খেরসনেও বেশ অগ্রগতি লাভের দাবি করেছে। খেরসন অঞ্চলের একটি গ্রাম রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এ অঞ্চল থেকে রুশ সেনারা পিছু হটেছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৩৫ তম মেরিন ব্রিগেডকে খেরসনের ‘ডেভিডিভ ব্রিড’ গ্রামে পতাকা ওড়াতে দেখা গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ বাহিনী এর আগেই ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে পিছু হটেছে। এখন দক্ষিণ দিক থেকেও তারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার আদেশে স্বাক্ষর করার পর এসব অঞ্চলে যুদ্ধ বেড়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের সংযুক্তির কোনো বৈধতা নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনের ডিক্রিকে অকার্যকর ঘোষণা করেছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল মঙ্গলবার জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই রাশিয়ার সংযুক্তিকে স্বীকৃতি দেবে না। দুই প্রেসিডেন্ট হিমার্স রকেট লাঞ্চারসহ ৬২৫ মিলিয়ন ডলার মার্কিন সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।