কোকা-কোলা তাদের জনপ্রিয় কোমল পানীয় ‘অ্যাপলটাইজার’ বাজার থেকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিপজ্জনক মাত্রার রাসায়নিক উপাদান থাকায় এমন নির্দেশনা দিয়েছে কোকা-কোলা। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ক্রেতাদের এই পণ্য না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রিয় স্পার্কলিং ড্রিংক অ্যাপলটাইজারের কিছু ব্যাচে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্লোরেট পাওয়া গেছে। এটি সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণের সময় ব্যবহৃত ক্লোরিনভিত্তিক জীবাণুনাশকের ভাঙনের ফলে তৈরি হয়। তবে উচ্চমাত্রায় ক্লোরেট গ্রহণ করলে থাইরয়েড সমস্যা বা কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইউরোপীয় ফুড সেফটি অথরিটি (ইএফএসএ) জানিয়েছে, শিশু ও নবজাতকদের জন্য এই রাসায়নিক অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে কোকা-কোলা, স্প্রাইট, ফান্টা, ট্রপিকো, অ্যাপলটাইজারসহ একাধিক ব্র্যান্ডের পানীয়তে অতিরিক্ত ক্লোরেট ধরা পড়েছে। ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি (এফএসএ) ভোক্তাদের এসব পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিকটস্থ দোকানে ফেরত দিতে বলেছে।
কোকা-কোলা তাদের যেসব পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছয় ক্যানের এসব প্যাকের প্রোডাকশন কোড ৩২৮জিই থেকে ৩৩৮জিই—সব কটিই বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোডটি ক্যানের নিচে লেখা থাকে। কোকা-কোলার নির্দেশনা পাওয়ার পর স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের উদ্দেশে বলেছে, এসব পানীয় দোকানে ফেরত দিলে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের আরও কিছু পণ্য বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন আগে স্পার শেভ্রে গোট চিজের (১০০ গ্রাম) একটি ব্যাচে বিপজ্জনক লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজেনস ব্যাকটেরিয়া পাওয়ার আশঙ্কায় তা বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। হরগানস ডেলিক্যাটেসেন সাপ্লাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এই পণ্যের মেয়াদ ছিল ১২ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত। পণ্যটি উত্তর আয়ারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রে সরবরাহ করা হয়েছিল।