ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নিয়ে চলতি মাসে কিয়েভ অষ্টমবারের মতো হামলার শিকার হলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শহরের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষকে জানালার পাশ থেকে দূরে অবস্থানের নির্দেশ দেয় সরকার। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ আকাশ থেকে নিচে পড়ায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিৎস্কো জানান, একটি চিড়িয়াখানাসহ কেন্দ্রীয় জেলাগুলোর ওপর রকেটের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়েছে। রুশ বাহিনী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ই ব্যবহার করে হামলা চালায়। এ প্রসঙ্গে কিয়েভের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এর আগে হওয়া হামলা থেকে এটি আলাদা।’
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহিয়ে পপকো এই হামলাকে ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে সর্বাধিকসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, কিয়েভের আকাশসীমায় শত্রুর লক্ষ্যবস্তুগুলোর বেশির ভাগই শনাক্ত ও ধ্বংস করা হয়েছে।’
গত কয়েক দিন ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় কয়েকটি দেশে সফরে রয়েছেন। এই সফরকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁসহ পশ্চিমা মিত্ররা কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক শ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও শত শত ড্রোন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আগামী মাসগুলোতে এসব সহায়তা সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।