ইংল্যান্ডের চার্চের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সারা মুলালিকে। প্রথমবারের মতো কোনো নারী এ পদে বসলেন। তবে আজ শুক্রবার ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ হিসেবে তাঁর নিয়োগের ঘোষণার পরপরই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন আফ্রিকাভিত্তিক রক্ষণশীল অ্যাংলিকান নেতারা, যাঁরা নারী বিশপ নিয়োগের বিরোধিতা করছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুলালি এখন থেকে বিশ্বের প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ অ্যাংলিকান খ্রিষ্টানের আনুষ্ঠানিক প্রধান হবেন। পূর্বসূরিদের মতো তাঁকেও রক্ষণশীল (বিশেষ করে আফ্রিকায়, যেখানে কিছু দেশে সমকামিতা বেআইনি) এবং পশ্চিমে তুলনামূলকভাবে উদার খ্রিষ্টানদের মধ্যে বিদ্যমান বিভেদ দূর করার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
ক্যান্টারবেরি ক্যাথেড্রালে প্রথম ভাষণে ৬৩ বছর বয়সী এই সাবেক নার্স চার্চকে কলঙ্কিত করা যৌন নির্যাতনের কেলেঙ্কারি ও নিরাপত্তাজনিত ব্যর্থতার নিন্দা জানান।
পাশাপাশি গতকাল যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরে ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগের সামনে হামলায় দুজন ইহুদি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করেন তিনি।
এদিকে আন্তর্জাতিক রক্ষণশীল অ্যাংলিকান গোষ্ঠী গাফকন তাৎক্ষণিকভাবে মুলালির নিয়োগের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি প্রমাণ করে ইংল্যান্ডের চার্চ ‘নেতৃত্ব দেওয়ার কর্তৃত্ব হারিয়েছে’।
যাঁরা তাঁর নিয়োগে আপত্তি জানাতে পারেন, তাঁদের উদ্দেশে মুলালি বলেন, ‘আমি এমন একজন যাজক হতে চাইব, যিনি আমাদের ঐতিহ্য যেমনই হোক না কেন, প্রত্যেকের ধর্মীয় কাজ এবং পেশাকে বিকশিত হতে সাহায্য করবেন।’
১১ বছর আগে প্রবর্তিত সংস্কারের ফলেই একজন নারীর পক্ষে আজ ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ হওয়া সম্ভব হয়েছে। ১৪০০ বছরের বেশি পুরোনো এ পদটি এত দিন পর্যন্ত কেবল পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া শেষ ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল।
২০১৮ সাল থেকে লন্ডনের বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মুলালি এর আগে চার্চের মধ্যে বেশ কয়েকটি উদারপন্থী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সিভিল পার্টনারশিপ এবং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ সমলিঙ্গের যুগলদের জন্য আশীর্বাদ অনুমোদনের বিষয়টি।