মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জান্তা বাহিনীর অন্তত ৩৫ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আটক হয়েছে আরও ১৭ সদস্য। বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গ্রুপে (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএও) সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বিগত দুই দিনে এই প্রাণহানি ঘটে। থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কারেন, মন ও চিন রাজ্য এবং সাগাইন, মান্দালয় এবং মগওয়ে অঞ্চলে এসব সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জান্তা সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে সাগাইনের মনিওয়াতে। পিডিএফ সদস্যদের ল্যান্ড মাইন দিয়ে পাতা অ্যামবুশে পড়ে ধ্বংস জান্তা বাহিনীর দুটি গাড়ি। এ সময় ওই ১০ সৈন্যের মৃত্যু হয়।
এদিকে, মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (কেএনএলএ) হামলায় অন্তত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় কেএনএলএ–এর সদস্যরা কায়ারিনসেইকজি শহরে থাকা জান্তা বাহিনীর একটি ঘাঁটিও দখল করে নেয়। কেএনএলএ–এর ৬ নম্বর ব্রিগেড এই হামলা চালিয়েছিল।
অপরদিকে, মিয়ানমারে জান্তাবাহিনীর হামলায় অন্তত ৬০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কাচিন রাজ্যের একটি সংগীত অনুষ্ঠানে জান্তাবাহিনীর বিমান হামলায় ওই ৬০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি। নিহতদের মধ্যে এক সংগীতশিল্পীও রয়েছেন। গত ২৩ অক্টোবর ওই হামলা চালানো হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় কাচিন নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগঠন কাচিন ইনডিপেনডেন্টস অর্গানাইজেশন (কেআইও) এই সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার বিষয়ে আলোচনা করার লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়ায় এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার তিন দিন পর এই হামলা হলো। জান্তাবাহিনীর এই হামলায় সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।