মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর ক্ষমতায় বসে তালেবান। নিরাপত্তা দেওয়া, সাধারণ ক্ষমা, নারী অধিকারসহ নানান বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও এর অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়নি।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহযোগীদের নিয়ে অসংখ্য সাবেক আফগান কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা লোকদের হত্যা করেছে তালেবান।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের পক্ষ থেকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা সত্ত্বেও সাবেক আফগান কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা লোকদের হত্যা, গুম এবং অন্যান্য সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সেনারা গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান ছাড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি হত্যার সঙ্গে জড়িত তালেবান ও তাদের সহযোগীরা। এ ছাড়া জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৫০ জনকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। এমনকি মানবাধিকারকর্মী এবং গণমাধ্যমকর্মীরাও আক্রমণ, ভয়ভীতি, হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার, দুর্ব্যবহার এবং হত্যার শিকার হচ্ছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতিবেদনে আফগানিস্তানের বর্তমান করুণ চিত্র উঠে এসেছে। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সম্পূর্ণ জটিল পরিস্থিতিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব একটি নতুন মানবাধিকার মনিটরিং ইউনিট গঠনসহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ মিশনের পুনর্গঠন অনুমোদনের জন্য কাউন্সিলকে সুপারিশ করেছেন।