হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ওমব্যাট ছানা নিয়ে বিতর্কের মুখে অস্ট্রেলিয়া ছাড়লেন মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সার

ওমব্যাটের ছানা হাতে সাম জোনস। ছবি: বিবিসি

ওমব্যাট হলো—ছোট পা-ওয়ালা, পেশিবহুল চতুর্মুখী থলেধারী একটি প্রাণী, যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বিচরণ করে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গিয়ে ওমব্যাটের একটি ছানাকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা করে ফেলায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েন সাম জোনস নামে এক মার্কিন নারী ইনফ্লুয়েন্সার। এই ঘটনার জের ধরে শেষ পর্যন্ত তাঁকে অপমানজনক পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয়েছে।

শুক্রবার বিবিসি সহ বিদেশি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মার্কিন নারী সাম জোনস নিজেকে বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী এবং পরিবেশ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচয় দেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশ থেকে একটি ওমব্যাটের একটি ছানাকে তুলে নিয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন। পরে তিনি ভিডিওটি মুছে ফেললেও ততক্ষণে তা ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি করে।

আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক নিশ্চিত করেছেন, জোনস স্বেচ্ছায় অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি, অস্ট্রেলিয়া আর কখনো এই ব্যক্তিকে দেখতে পাবে না।’

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সরকার জোনসের ভিসার শর্ত পর্যালোচনা করছিল। মায়ের কাছ থেকে ওমব্যাটের ছানা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। তিনি বলেন, ‘ওমব্যাটরা শান্তশিষ্ট, সুন্দর প্রাণী। আমি এই তথাকথিত ইনফ্লুয়েন্সারকে পরামর্শ দেব, তিনি যদি সত্যিই সাহসী হন, তাহলে তাঁর উচিত কুমিরের বাচ্চা চুরি করে দেখানো।’

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়—শিশু ওমব্যাটটি উচ্চ স্বরে চিৎকার করছে এবং তার মা সন্তানকে রক্ষা করার জন্য রাস্তা পার হয়ে ছুটে আসছে। কিন্তু জোনস হাসতে হাসতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলছিলেন, ‘আমি একটা শিশু ওমব্যাট ধরেছি!’ ক্যামেরাম্যানও এ সময় হেসে বলেন, ‘দেখো, মা ওমব্যাট তার পেছনে ছুটছে!’

অবশেষে, জোনস রাস্তা পার হয়ে শিশুটিকে ছেড়ে দেন, তবে তখনো এটি আতঙ্কে চিৎকার করছিল। তবে এই ঘটনার পর জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে, জোনস তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত করে ফেলেন এবং তাঁর টিকটক অ্যাকাউন্টও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, দেশটির স্থানীয় বন্যপ্রাণীরা আইন দ্বারা সুরক্ষিত। এই আইনের আওতায় দেশটিতে প্রাণী নির্যাতনে দোষী সাব্যস্তদের সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ অস্ট্রেলীয় ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সংস্থাগুলো আশা করছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৮০ হাজার মানুষের সামনে শিশুকে দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাল তালেবান, জাতিসংঘের নিন্দা

মিয়ানমারে আফিম চাষ বেড়েছে বহুগুণ, সংঘাত ও দারিদ্র্যে চোরাচালানে জড়াচ্ছেন কৃষকেরা

এশিয়ার চার দেশে বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১১০০ ছাড়াল

এশিয়াজুড়ে বন্যা–ভূমিধসের তাণ্ডব, মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল

প্রথমবারের মতো কাঠমান্ডুতে মৎস্য মেলার আয়োজন করল বাংলাদেশ

বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়া, চার দেশে ৬০০ জনের প্রাণহানি

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

ঘূর্ণিঝড়ে শ্রীলঙ্কায় মৃত বেড়ে ১৫৩, আন্তর্জাতিক সাহায্য প্রার্থনা

থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, ভ্রমণের আগে পর্যটকদের যা জানা দরকার