দুর্নীতির দায়ে ২২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করা দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হেকে ক্ষমা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন।
৬৯ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের পর ক্ষমতার অপব্যবহার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। পার্ক ছিলেন দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেত্রী, যাঁকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল।
কাঁধ ও পিঠের নিচে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণে পার্ককে এ বছর তিনবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় নিউজ আউটলেট ইয়োনহাপ বলেছে, পার্ক নতুন বছরে ক্ষমার সুবিধা পাওয়ার তালিকায় ছিলেন। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে এই তালিকায় রাখা হয়েছিল। এর আগে রাষ্ট্রপতি মুন জায়ে-ইন ক্ষমার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
২০১৮ সালে ১৮টি অভিযোগের মধ্যে ১৬টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন পার্ক। বেশির ভাগই ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহার। সাবেক এই নেতা বরাবরই অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছেন।
পার্ককে প্রাথমিকভাবে মোট ৩০ বছরের জেল এবং ২০ বিলিয়ন ওয়ান জরিমানা করা হয়েছিল, কিন্তু পরে উচ্চ আদালত তাঁর দণ্ড কমিয়ে দেন।
বিবিসির সিউল সংবাদদাতা লরা বিকার বলেছেন, এই মামলা পার্কের পরে উদারপন্থী মুন জা-ইনের ক্ষমতায় আসার পথও প্রশস্ত করেছিল, কারণ তিনি উচ্চপদে দুর্নীতির মূলোৎপাটনের প্রতিশ্রুতি প্রচার করেছিলেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হান মিয়ং-সুক, যিনি ঘুষের দায়ে ১০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন, তাঁকেও শুক্রবার সরকার অব্যাহতি দিয়েছে।