হোম > বিশ্ব > এশিয়া

মিয়ানমারে বোমা হামলায় ৫ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তা নিহত

মিয়ানমারের থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী শহর মায়াওয়াদির পুলিশ স্টেশন ও প্রশাসনিক দপ্তরে বোমা হামলায় সেনা ও পুলিশসহ ৫ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। আজ সোমবার সকালে পৃথক দুটি হামলায় তারা হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

নিহতদের মধ্যে একজন সেনা, দুজন পুলিশ এবং দুজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত ১১ জনের সবাই পুলিশের সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সোমবার সকালে কাছাকাছি সময়ে মায়াওয়াদির জেলা প্রশাসনিক কার্যালয় এবং পুলিশ স্টেশনকে লক্ষ্য করে দুটি শক্তিশালী বোমা ফেলা হয়। এই দুই কার্যালয় একই কম্পাউডে পাশাপাশি অবস্থিত।

ক্ষমতাসীন জান্তা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা এএফপিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। কর্মকর্তারা জানান, হামলার পর ওই এলাকায় পাহারা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে হামলায় হতাহতের নাম এবং নিজেদের নাম-পরিচয় তারা প্রকাশ করতে চাননি।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, জান্তাবিরোধী দল ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ) এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি  (কেএনএলএ) এই হামলার জন্য দায়ী।

মায়াওয়াদি শহরের অদূরেই সীমান্ত, ওপারে থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশ। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধানও তিনি।

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরপরই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনতা। শান্তিপূর্ণ সেই বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করলে স্থিমিত হয়ে আসে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ, সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিতে থাকে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গেরিলা সংগ্রাম। বিভিন্ন শহরের সেনা ছাউনি, সরকারি কার্যালয় ও কর্মকর্তারা হতে থাকেন সশস্ত্র গেরিলা যোদ্ধাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমগুলো তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মিয়ানমারের যেসব শহরে জান্তা ও জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত সবচেয়ে বেশি ঘটছে, মায়াওয়াদি সেসবের মধ্যে অন্যতম।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কয়েকটি সেনাছাউনি ও পুলিশ স্টেশনে একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ৮ জন সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা।

দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সেই হামলার দায় স্বীকারের পর সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেনাবাহিনীকে রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের নির্দেশ দেন।

সেনাবাহিনীর ভয়াবহ সেই অভিযানে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সামনে টিকতে না পেরে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। সেই ঘটনার পর প্রায় ৬ বছর পেরিয়ে গেছে, এখনো তারা নিজ দেশে ফিরতে পারেননি।

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে