হোম > বিশ্ব > এশিয়া

চীনের শূন্য কোভিডনীতির ধকল পোহাচ্ছে ইউরোপ

ইউরোপের জন্য এই ২০২২ সালকে বেশ বাজে বলতে হবে। তার গলায় বড়সড় দুটি কাঁটা বিঁধে আছে। এর একটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যটি চীনে চলমান শূন্য কোভিডনীতির কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে নানা মাত্রা লকডাউন। প্রথমটির কারণে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে ভুগতে হচ্ছে দেশটিকে। আর দ্বিতীয়টি রীতিমতো ইউরোপের অর্থনীতির শক্তিমত্তার পরীক্ষা নিয়ে ছাড়ছে।

চীনে চলমান শূন্য কোভিডনীতির কারণে দেশটির অর্থনীতির চাকা বেশ শ্লথ হয়ে গেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বেশ আলোচনাও চলছে। অনেককে চীন নিয়ে হা-হুতাশও করতে দেখা যাচ্ছে। এই অনেকের কাতারে রয়েছে মার্কিন ও ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। কিন্তু তারা এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি চেপে যায়, তা হলো, চীনের অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার বড় প্রভাব পড়ছে তাদের অর্থনীতির ওপর। বিশেষ করে ইউরোপকে এর বড় মূল্য চোকাতে হচ্ছে। 

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি মাসেও যদি চীনে সাধারণ মানুষের চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে, তাতেও বৈশ্বিক রপ্তানির পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি (১৪০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার কম হবে। এর মধ্যে ইউরোপের রপ্তানিই কমবে ২ হাজার কোটি ডলারের। আর যুক্তরাষ্ট্রের কমবে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের। আর এ লকডাউন ২০২০ সালে চীনে আরোপিত লকডাউনের মতো হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। সে ক্ষেত্রে বৈশ্বিক রপ্তানির পরিমাণ ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার কম হবে। ইউরোপেরই শুধু কমবে ৫ হাজার কোটি ডলারের রপ্তানি। আর যুক্তরাষ্ট্রের কমবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের মতো। 

মনে রাখা দরকার চীনের লকডাউনের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এই যে প্রভাব পড়ছে, তা কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে হওয়া ক্ষতির সঙ্গে যোগ হবে। এই যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে বৈশ্বিক পর্যায়ে ৪৮ হাজার কোটি ডলারে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

চীনের শূন্য কোভিডনীতির কারণে ইউরোপকে কেন এতটা ভুগতে হবে? একটু ব্যাখ্যা করা যাক। ভোক্তা অঞ্চল হিসেবে ইউরোপের ভোগান্তির শুরু হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই। আর চীনের কোভিডনীতির কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে পড়েছে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর এর কারণে ভুগতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকেই। 

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বে বিশেষত ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইল খাতের উৎপাদন অনেকটাই চীনের ওপর নির্ভরশীল। এসব খাতে প্রতি বছর ১ লাখ ৩০ হাজার ডলারের চীনা পণ্য ব্যবহার হয়। এ ক্ষেত্রে চীনের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। ফলে চীনা অর্থনীতির সংকটে তাদের ভোগান্তিও বেশি। বিশেষত সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে বড় সংকটের মুখে রয়েছে গোটা বিশ্ব। এ সংকটের শুরু গত বছর থেকেই। বিশ্বের মোট সেমিকন্ডাক্টের রপ্তানির ৯০ শতাংশই এশিয়া থেকে আসে। ফলে চীনের সংকট কত বড় প্রভাব ফেলছে, তা আর না উল্লেখ করলেও চলে। 

ইউরোপের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য অতি প্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচিত চিপ, যার সংকটে অঞ্চলটির গাড়ি উৎপাদন ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া টিন, কপার, জিংক, ম্যাগনেশিয়ামের মতো ধাতুর সরবরাহের প্রশ্ন এলে ইউরোপের জন্য চীন ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সব মিলিয়ে ইউরোপ বেশ শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। এর আগে ২০১৫-১৬ সময়ে চীনের অর্থনৈতিক সংকটের সময় ইউরোপে চীনা পণ্যের আমদানি ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। আর এই আমদানি হ্রাসের কারণে ভুগতে হয়েছিল ইউরোপের কারখানাগুলোকে। এবারও তেমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ যোগ হয়েছে, তখন এই শঙ্কার মাত্রা অনেক বেশি। 

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে