হোম > বিশ্ব > এশিয়া

রাজকীয় ক্ষমা পেলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা 

থাইল্যান্ডের ধনকুবের ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা রাজকীয় ক্ষমা পেয়েছেন। দেশটির পার্লামেন্ট তাঁর কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার এক দিন পর এই ক্ষমা পেলেন তিনি। এতে তাঁর প্যারল দুই সপ্তাহ কমেছে আর তাতে তিনি রোববার সাজামুক্ত হবেন বলে শনিবার তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন।

থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। তারপর থেকে প্রায় দুই দশক ধরে সিনাওয়াত্রা পরিবার ও তাঁদের মিত্রদের সঙ্গে রাজানুগত, সামরিক বাহিনীর জেনারেল ও পুরোনো ধনী পরিবারগুলোর এক চক্রের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল। থাকসিন ছিলেন এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে।

রাজানুগত, সামরিক বাহিনীর জেনারেল ও পুরোনো ধনী পরিবারগুলোর চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডের সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে।

ক্ষমতা হারানোর দুই বছর পর কারাগারে যাওয়া এড়াতে থাকসিন নির্বাসনে চলে গিয়েছিলেন। গত বছরের আগস্টে নাটকীয়ভাবে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে হাজির করে পুলিশ। আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার ও অন্যান্য অভিযোগে তাঁকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন।

কারাগারে প্রথম দিনই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ব্যাংককের পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্যগত কারণে এই হাসপাতালে ছয় মাস আটক ছিলেন তিনি। তারপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পান।

গত সেপ্টেম্বরেই তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে এক বছর করেছিলেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। গত মাসে রাজার জন্মদিন উপলক্ষে যে বন্দীদের রাজকীয় ক্ষমা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে থাকসিনও আছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

ফেব্রুয়ারিতে মঞ্জুর করা প্যারল অনুযায়ী থাকসিনের সাজার মেয়াদ চলতি মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজকীয় ক্ষমা পাওয়ায় রোববারই তার সাজার মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছিলেন থাকসিন। দেশটির অভিজাত শাসকদের অবহেলার শিকার গ্রামীণ ভোটারদের মধ্যে আবেদন তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। পাঁচ বছর পর নির্বাচনের আবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি কিন্তু ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেশে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে নিলে পদ হারান তিনি।

শুক্রবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে আইনপ্রণেতারা থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে (৩৭) দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন। পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার (২০১১-২০১৪) পর তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।

তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

ইন্দোনেশিয়ায় নার্সিং হোমে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু

যে কৌশলে রুশ ধনকুবেরদের কণ্ঠরোধ করেছেন পুতিন

সহিংসতা ও প্রত্যাখ্যানের মধ্যে মিয়ানমারে চলছে ‘প্রহসনের’ নির্বাচন

জাপানে তুষারপাতে পিচ্ছিল রাস্তায় ৫০টি গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ২

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দ্বিতীয়বার যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড, জটিল সমীকরণে মালয়েশিয়ার সরকার

৫৪ কোটি ডলার পাচার: ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রেকর্ড প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করল জাপান

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত