হোম > বিশ্ব > এশিয়া

থাকসিন মুক্তি পাচ্ছেন রোববার 

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক থাই প্রেসিডেন্ট থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুক্তি পাচ্ছেন আগামী রোববার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সেরেথা থাভাইসিন আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

স্থানীয় সময় আজ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেরেথা থাভাইসিন। এ সময় তিনি থাকসিন সিনাওয়াত্রার মুক্তির দিনক্ষণ নিশ্চিত করে বলেন, ‘দেশের আইন অনুসারে, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (অর্থাৎ রোববার) মুক্তি দেওয়া হবে।’ 

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী তাওই সসং জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী থাকসিন সিনাওয়াত্রা শিগগির মুক্তি পাবেন। সে সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই থাকসিনকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তাঁর সেই কথাই সত্যি হতে যাচ্ছে। 

তাওই সসং সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘প্রায় ৯৩০ জন কারাবন্দীর সাজা মওকুফ করা হবে। থাকসিন সিনাওয়াত্রাও সেই তালিকায় আছেন। মূলত যাঁরা খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন বা যাঁদের বয়স ৭০ বছরের ওপরে, তাঁদেরই মুক্তি দেওয়া হবে। ছয় মাস পর স্বাভাবিকভাবেই তিনি মুক্তি পেতেন।’ 

এদিক, মুক্তির সুখবর পাওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগেই থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। প্রায় এক দশক আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। 

পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানের সময় একটি সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন থাকসিন। থাকসিনের বিরুদ্ধে এমন সময়ে এই অভিযোগ আনা হলো, যখন আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কথা আছে। তবে মামলাটি এগিয়ে যাবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারাগারে বন্দী এই বিলিয়নিয়ার দেশটির কঠোর আইনের অধীনে বিচারের মুখোমুখি হওয়া সর্বশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। 

গত বছরের ২২ আগস্ট সিঙ্গাপুরে ১৫ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে ব্যক্তিগত বিমানে করে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন থাকসিন। পরে বিমানবন্দর থেকে আগের দণ্ডাদেশ থাকায় আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই থাকসিনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

টেলিকম ব্যবসার মাধ্যমে দেশটির শীর্ষ ধনকুবের বনে যান থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২০০১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। পরে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। 

অবশ্য মাঝে একবার ২০০৮ সালে তিনি থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে থাকসিনের অনুপস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে চারটি মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে আদালতের রায়ের ওপর থাইল্যান্ডের রাজা থাকসিনকে দণ্ড অর্ধেক করে দেন।

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে