থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের নারী শৌচাগারগুলোতে বেশ কয়েকটি গোপন ক্যামেরা পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের এক থাই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, সমস্ত কর্মীর কল্যাণ ও গোপনীয়তার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা এ নিয়ে যথাযথ সহায়তা প্রদান করছি।
তবে ঘটনাটি বিচারাধীন হওয়ায় এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই মুখপাত্র।
রয়্যাল থাই পুলিশের বৈদেশিকবিষয়ক বিভাগের কমান্ডার খেমমারিন হাসিরি বলেন, অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস গত ৬ জানুয়ারি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি এখনো নিশ্চিত নয় যে গোপন ক্যামেরাগুলো কত দিন শৌচাগারে ছিল। গত বছর একটি এসডি কার্ড শৌচাগারের ফ্লোরে পাওয়া গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
অস্ট্রেলিয়ান একজন প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতিবিশেষজ্ঞ এএফপিকে বলেছেন, এ ঘটনা একটি গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনকে সামনে আনে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক হিউ হোয়াইট বলেন, নিরাপত্তা যথেষ্ট শিথিল হলেই ক্যামেরার মতো ডিভাইসগুলো সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে যেকোনো জায়গায় ইনস্টল করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, এই নিরাপত্তা দূতাবাসকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যথেষ্ট শক্ত নয়।