উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার লাগাম টানতে দেশটির ছয় নাগরিক, একজন রাশিয়ান নাগরিক ও একটি রুশ ফার্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পিয়ংইয়ংয়ের গণবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বা অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি রোধ করা এবং অস্ত্র প্রযুক্তি বিস্তারের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করাই এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালানোর কারণে নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া উত্তর কোরিয়ার ছয় নাগরিকের পাঁচজনকে ব্ল্যাক লিস্টে রাখার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত বেগে ছোটা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি সময় শত্রুর চোখ ফাঁকি দিতে পারে।
চলতি দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে। নববর্ষের ভাষণে কিম জং উন পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিরক্ষা জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরই এই পরীক্ষা চালানো হয়।