শ্রীলঙ্কায় কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমেছে শত শত শিক্ষার্থী। দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ক্যান্ডিতে সরকার আরোপিত কারফিউ অমান্য করে জমায়েত হন তাঁরা। কারফিউ লঙ্ঘনের দায়ে অন্তত ৬৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক মন্দার বিরুদ্ধে ক্যান্ডি ছাড়াও পেরদেনিয়ায় বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এ ছাড়া, দেশটির রাজধানী কলম্বোয় বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের মিছিলে কয়েক শ লোক যোগ দেয়। গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া কারফিউ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার সরকার গত শনিবার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যবহারকারীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান জয়ন্ত ডি সিলভা বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিশেষ নির্দেশনা মেনেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি দেশ ও জনগণের স্বার্থে শান্তি বজায় রাখার জন্য আরোপ করা হয়েছে।’
দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক সংকট দেশটির সরকারগুলোর ধারাবাহিক অব্যবস্থাপনা এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। কোভিড মহামারি দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত পর্যটন ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স কমিয়ে দিয়েছে।
এ দিকে, দেশটির সরকার জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে বেল আউট এবং ভারত ও চীনের কাছ থেকে নতুন করে ঋণ সহায়তা চাইছে।